
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে দাপুটে জয়ে সিরিজ শুরু করলো লিটন দাসের দল।
মাত্র ১১১ রানের লক্ষ্য। তবু শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে অধৈর্য্যতা দেখান বাংলাদেশের ব্যাটাররা। উইকেটের আচরণ বুঝে খেলার বদলে আগ্রাসী মানসিকতায় শুরু করেন তানজিদ ও লিটন। তার খেসারতও দিতে হয় দ্রুত।
প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই অভিষিক্ত সালমান মির্জার হাতে নিজের উইকেট তুলে দেন তানজিদ হাসান তামিম। তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন মাত্র ১ রান করে।
আরও পড়ুন
» মোস্তাফিজ-তাসকিনের দাপুটে বোলিং, পাকিস্তানের বিপক্ষে সহজ লক্ষ্য
» সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন এই ‘রহস্যময়’ স্পিনার
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে একইভাবে চার বলেই ১ রান করে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন দাস। ব্যাটিংয়ের শুরুতে দুজন ওপেনারের এমন আত্মাহুতি চাপ বাড়িয়ে দেয় দলের ওপর।
ষষ্ঠ ওভারে ফিরতে পারতেন তাওহীদ হৃদয়ও। থার্ডম্যানে তার ক্যাচ ফেলেন আবরার আহমেদ। তাতে জীবন পান হৃদয়, যা কিছুটা স্বস্তি এনে দেয় ড্রেসিংরুমে।
পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৮ রান। এর মাঝে দুটো করে ছক্কা হাঁকান পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহীদ হৃদয়। শুরুতে ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পর এই জুটি এনে দেয় ২৩ বলে ৩১ রানের মূল্যবান সংযোগ।
তাওহীদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমনের দুটি করে ছক্কায় দারুণভাবে পথ খুঁজে নেয় বাংলাদেশ। তাদের ব্যাটেই মূলত গড়ে ওঠে জয়ের ভিত্তি।
এই দুজনের ৬২ বলের জুটিতে আসে ৭৩ রান- যা শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয় ম্যাচে। ১৩তম ওভারে সেই জুটি ভাঙে হৃদয়ের বিদায়ে। আব্বাস আফ্রিদির দ্বিতীয় বলে পায়ে আঘাত পান, আর ঠিক পরের ডেলিভারিতেই বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৩৭ বলের ইনিংসে হৃদয় করেন ৩৬ রান, যেখানে ছিল দুটি করে চার ও ছয়।
অন্য প্রান্তে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ইমন। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ঝলক দেখান বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৩৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩৯ বলে ৫৬ রান করে। ইনিংসে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে।
এর আগে শুরুতেই দুর্দান্ত বোলিং, সঙ্গে দুটি রান আউট- সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে আলো ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের চার ওভারে ১৮টি ডট বল, রান দেন মাত্র ৬! তুলে নেন ২টি উইকেট। তাসকিন আহমেদও কম যাননি- ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার।
আগামী ২২ জুন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুদল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান : ১১০/১০ (১৯.৩)
বাংলাদেশ : ১১২/৩ (১৫.৩)
ফলাফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০জুলাই২৫/এসএ/এনজি
