
দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের যুবাদের নিয়ে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল বাংলাদেশের যুবারা। সোমবার (২৮ জুলাই) সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে আজিজুল হাকিক তামিমের দল।
হারাতে স্পোর্টস ক্লাবে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জবাবে ৪২.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
এদিন হারারেতে আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭০ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার পরের বলেই ফিরে যান রিফাত বেগ (৩১)। এরপর আজিজুলের সঙ্গে জুটি গড়েন জাওয়াদ আবরার। এই জুটিতে ফিফটি রানের মাইলফলক ছুঁয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন তিনি। তবে আশির ঘরে গিয়ে থামতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন:
» ভক্তদের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানালেন তাসকিন
» বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে লঙ্কান কোচ নিয়োগ দিল হংকং
দলীয় ১৪৭ রানের মাথায় ফিরেন জাওয়াদ। ৬৩ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কার মারে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর রিজানকে নিয়ে দলকে বড় লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন আজিজুল। তবে ১৭৫ রানের মাথায় শুরু হয় ব্যাটিং বিপর্যয়। একই রানে একে একে আজিজুল (৩৪), রিজান হোসেন (১৬) ও ফরিদ হাসান ফয়সাল (০)।

দ্রুত উইকেট হারানোর পর ম্যাচের হাল ধরেন আব্দুল্লাহ। ছবি- জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
এরপর ১৮০ রানের মাথায় ফিরে যান সবশেষ ম্যাচের জয়ে নায়ক সামিউন বশির রাতুলও (২)। পরপর ৪টি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে অপরপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন আব্দুল্লাহ। শেষ পর্যন্ত আব্দুল্লাহর অপরাজিত ৫৬ এবং দেবাশীষ সরকারের ২৪ রানের ক্যামিওতে ভর করে ২৭৪ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ রান তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বেশ ভালোভাবেই এগোতে থাকে স্বাগতিকরা। দলীয় ৯৮ রান দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। এরপর ১০২ রাতে পতন ঘটে তৃতীয় উইকেটের। চতুর্থ উইকেটে আরো ৩৮ রান যোগ করে তারা। তবে ১৪০ রানে এই জুটি ভাঙার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। পরবর্তী ৪৩ রানের মধ্যে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয়ে যায় দলটি।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ওপেনার নাথানিয়েল হ্লাবাঙ্গানা। এছাড়া তিনজন ব্যাটার বিশের ঘরে আউট হয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সামিউন। এছাড়া আল ফাহাদ ও আজিজুল ২টি করে এবং স্বাধীন ও দেবাশীষ একটি করে উইকেট নেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮জুলাই২৫/বিটি
