
বাংলাদেশের ও নেপালের মধ্যকার প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়েছে। পুরো ম্যাচজুড়ে একাধিক চেষ্টা চালিয়েও কোনো গোলের দেখা পায়নি কেউ। যার ফলে গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে নেপাল। বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৮৪ নম্বরে, অন্যদিকে নেপালের অবস্থান ১৭৪ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে এই ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার কথা বাংলাদেশের। তাছাড়া ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নেপালের মাটিতে। সেই হিসেবে বলাই যায় নেপালকে রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু দেশের ফুটবলের সাম্প্রতিক গণজাগরণের পর এই ড্র নিয়ে সত্যিই কি সন্তুষ্ট থাকবে বাংলাদেশ! কেননা সামনে আরো বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে লাল-সবুজদের। আগামী মাসে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভিয়েতনামের বিপক্ষে খেলবেন হামজারা। আসন্ন এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোর প্রস্তুতি হিসেবেই নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছে তারা। এখানে ভালো করতে পারলেই সামনে তা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
কিন্তু প্রস্তুতিতে শুরুটাই হলো ড্র দিয়ে। ম্যাচে নেপালের জালে একবারও বল জড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তাছাড়া একাধিক সুযোগও মিস করেছেন রাকিব-সুমন রেজারা। যার ফলে এই ম্যাচের ফলাফল নিয়ে হয়ত সন্তুষ্ট থাকার কথা নয় খেলোয়াড়-কোচদের।
এদিন কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চাপে রাখার চেষ্টা করে নেপাল। তবে চাপ সামলে পাল্টা আক্রমণ চালায় বাংলাদেশও। ম্যাচের ১০ মিনিটেই সুমন রেজার গোলে এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি। বিরতিতে যাওয়ার আগে আরো কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। তবে ভালো ফিনিশিংয়ের অভাবে সাফল্য পায়নি রাকিবরা।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই চিত্র। দুই দলই সেই কাঙ্ক্ষিত গোলের খোঁজে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষককে প্রতিহত করে বল জালে জড়াতে পারেনি কেউই। এর ফলে ড্রতেই শেষ হয় ম্যাচটি।
চার বছর আগে এই ভেন্যুতেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। চার বছর পর এসেও ম্যাচের ফলাফল একই। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৪৫মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
