প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্ট শুরু হতে বাকি আরও চার মাস। বড় মঞ্চে মাঠে নামার আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলে নিজেদের শক্তিমত্তা বাড়িয়ে নিতে চায় বাঘিনীরা। সেই লক্ষ্যে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে থাইল্যান্ড সফর করেছে আফঈদা খন্দকারের দল।
তবে প্রীতি ম্যাচের শুরুটা প্রত্যাশামাফিক হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী থাইল্যান্ডের কাছে হেরে গেছেন আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। ব্যাংককে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের ৩-০ গোলে হেরেছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আজ (শুক্রবার) ম্যাচের প্রথমার্ধে ০-১ গোল পিছিয়ে পড়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি ঋতুপর্ণারা। পরে আরও ২ গোল হজম করে শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
এদিন খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথম মিমিটেই এগিয়ে যায় থাইল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন ওরাপিন ওয়েনগোয়েন। তবে প্রথমার্ধের বাকি সময়টাতে আর কোনো গোল হয়নি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় থাইল্যান্ড। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে গোল করেন সাওয়ালাক পেংগাম।
দ্বিতীয় গোল হজমের পর ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে বাংলাদেশের জালে তৃতীয় আঘাত হানে থাইল্যান্ড। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান পট্টারানন আউপাচাই। তৃতীয় গোল হজমের পর সেখানেই বাংলাদেশের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কোনো গোল না করেই হার নিয়ে মাঠ ছাড়েন ঋতুপর্ণারা।
১২ বছর থাইল্যান্ড নারী দলের মুখোমুখি হলো বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৩ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ হজম করেছিল ৯ গোল। বিপরীতে প্রতিপক্ষের জাল একটি গোলও শোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দেখায় গোল ব্যবধান কমে আসলেও এবারও কোনো গোল দিতে পারেনি বাঘিনীরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪অক্টোবর২৫/বিটি