
কলম্বো থেকে ক্যান্ডিতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। গেল শনিবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে জেতার পর ক্রিকেটাররা এখন দারুণ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এবং সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
বাংলাদেশ ক্যান্ডিতে ভালো ক্রিকেট খেলতে অভ্যস্ত। ২০১২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে বড় স্কোর করেছিল তারা। এছাড়া স্বাগতিকদের বিপক্ষে ওয়ানডে জিতেছে এবং টেস্ট ড্র করেছে। এই ইতিবাচক স্মৃতিগুলো টাইগারদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। কোচিং স্টাফরা অবশ্য রেকর্ড নিয়ে না ভেবে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং – এই তিন বিভাগেই ধারাবাহিক উন্নতি দেখতে চান।
আরও পড়ুন:
» ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো ভারত
» যুক্তরাষ্ট্রের টি-টেন লিগে সাকিবসহ খেলবেন ৯ বাংলাদেশি
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে এখন তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল অবসর নেওয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেক খেলোয়াড়ই সুযোগ পেয়েছেন। এই তরুণরা নির্ভয়ে খেলতে জানেন এবং তাদের মধ্যে জয় পাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা দেখা যাচ্ছে। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, এই তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ ধাপে ধাপে উন্নতির পথে এগোবে।
তবে দলের ব্যাটিংয়ে কিছু দুর্বলতা থাকলেও, বিশেষ করে টপ-অর্ডারে তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া কেউ ধারাবাহিক নন। লিটন কুমার দাস ওপেনিং পজিশন হারিয়েছেন এবং মিডল অর্ডারেও ভালো করতে পারছেন না। টি-২০ সিরিজেও ব্যর্থ হলে তার নেতৃত্ব ও জাতীয় দলে জায়গা হারানোর সম্ভাবনা আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থরা তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। নাজমুল হোসেন শান্তর উরুর চোট সেরে যাওয়ায় লিটন হয়তো সিরিজের শেষ ম্যাচে একাদশ থেকে বাদ পড়তে পারেন। সব মিলিয়ে, ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন জয়ের তীব্র নেশা কাজ করছে। তারা যেকোনো মূল্যে জিততে চান।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬জুলাই২৫/এসএইচএ
