সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে শক্ত অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৪৪৭ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে শান্ত-লিটনরা। আইরিশদের চেয়ে এখন ১৬১ রানে এগিয়ে রয়েছে টাইগাররা।
দিনের শুরুটা যদিও বাংলাদেশের জন্য কিছুটা ধাক্কার ছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক দুজনেই ফিরেছেন প্রথম সেশনে।
জুটি ভাঙে জয়ের আউটের মধ্য দিয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ওপেনার নতুন বলে ম্যাককার্থির স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ক্যাচে ধরা পড়েন। ২৮৬ বল খেলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৭১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ফেরেন তিনি।
এর মাত্র ৯ বল পর ফেরেন মুমিনুল হক। অফ স্টাম্পের বাইরের এক বল হালকা ভেতরের দিকে ঢুকে এসে তাঁর ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা অ্যান্ডি বালবার্নির হাতে ধরা পড়ে। ১৩২ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় গড়া ৮২ রানের ইনিংস থামে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের করা ২৮৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৫২ রানের লিড নিয়েছিল। জয়-মুমিনুলের ১৭৩ রানের পার্টনারশিপে বড় লিডের পথে এগুচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে সেট দুই ব্যাটারের দ্রুত আউটে কিছুটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে তাদের আউটের অভাবও বুঝতে দেয়নি নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
৩৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শান্ত ও মুশফিকের পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। প্রতিপক্ষের বাঁহাতি স্পিনার হামফ্রিসের বলে ২৩ রানে গালিতে ক্যাচ দেন তিনি।
তবে অন্য প্রান্তে দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটি। তাঁর সঙ্গে উইকেটে আছেন লিটন দাস, যিনি ১৯ রানে অপরাজিত থেকে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করছেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৩নভেম্বর২৫/টিএ