
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কখনো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। তবে চলমান সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। তাই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ রয়েছে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের। সেই লক্ষ্যে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ (রোববার) মুখোমুখি হয়েছে দুই দল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে বোলিংয়ে নেমে আফগানিস্তানকে দেড়শোর আগেই আটকে দিয়েছে টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করেছে আফগানিস্তান। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করতে ১৪৪ রান প্রয়োজন জাকের আলীদের।
এদিন বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত হানে বাংলাদেশ। ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরানকে ক্যাচ আউটের শিকার বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই পেসার। ৬ বলে ৭ রান করে ফেরেন ইব্রাহিম। পরের ওভারেই দ্বিতীয় আঘাত হানে বাংলাদেশ। এবার উইকেটের খাতায় নাম লেখান নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে কভার পয়েন্টে রহমানউল্লাহ গুরবাজের দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন শামীম পাটোয়ারী। ৯ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন গুরবাজ।
গুরবাজ বিদায় নেওয়ার পর পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১১ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেদিকুল্লাহ আতল ও দ্বরবেশ রাসুলী মিলে ২৫ বলে ৩৪ রান যোগ করেন। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় সেদিকুল্লাহকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক এই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ২৩ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেন সেদিকুল্লাহ।
পরবর্তীতে দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় আফগানিস্তান। একে একে বিদায় নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খানরা। তাতে দলীয় ৯৮ রানের অষ্টম উইকেট হারায় তারা। তবে পরবর্তীতে আফগানদের লড়াকু পুঁজি এনে দিতে ভূমিকা রাখেন রাসুলী ও মুজিব উর রহমান। রাসুলির ৩২ এবং শেষদিকে মুজিবের ১৮ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে ভর করে ১৪৩ রানে পৌঁছায় আফগানরা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। তানজিম সাকিব ও নাসুম ৪ ওভারে সমান ২৪ রান খরচ করে ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।
ক্রিফোস্পোর্টস/৫অক্টোবর২৫/বিটি
