হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩ বছর পর ফেরার ম্যাচটি জয়ে রাঙাতে ব্যর্থ হয়েছে আফঈদা খন্দকারের দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৯২ নম্বরে থাকা মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
জাতীয় স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশ। ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিজরা। শামসুন্নাহার জুনিয়রের দারুণ এক ক্রসে মনিকা চাকমা মাথা ছোঁয়াতে পারলেই বল জড়াতো মালয়েশিয়ার জালে। তবে একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি মনিকা। এরপর আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংটা ঠিকমতো করতে পারেনি লাল-সবুজের দল।
তবে এত বাংলাদেশের এত আক্রমণের ভীড়ে মালয়েশিয়া অপেক্ষায় ছিল পাল্টা আক্রমণের। কেননা আজও হাইলাইন ডিফেন্সে অনড় ছিলেন কোচ পিটার বাটলার। আর বাটলারের সেই হাইলাইন ডিফেন্সই মালয়েশিয়াকে প্রথম গোল করার সুযোগ এনে দেয়।
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে বা প্রান্ত থেকে সামনের দিকে বল বাড়িয়ে দেয় মালয়েশিয়া। তখন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা ছিলেন মাঝমাঠের কাছাকাছি। তাই গোলপোস্ট থেকে এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করেন রুপ্না চাকমা। তবে মালয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড আইনসিয়া মুরাদ রুপনাকে পাশ কাটিয়ে বল নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর ফাঁকা পোস্টে সহজেই বল জড়িয়ে দলকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড।
এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে বড় কোনো আক্রমণে যেতে পারেনি তারা। অন্যদিকে মালয়েশিয়াও পাল্টা আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছিলো বারবার। তবে বাকিটা সময় আর বড় কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। তাতে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

একাধিক আক্রমণ করেও মালয়েশিয়ার জালে বল জড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ছবি- সংগৃহীত
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে একের পর এক আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে ঋতুপর্ণা-মনিকারা। তবে কোনোভাবেই আসছিলো না সেই কাঙ্ক্ষিত গোল। এরমাঝে মালয়েশিয়াও বেশ কয়েকবার আক্রমণে আসার চেষ্টা করে। তবে রুপ্নার বিশ্বস্ত হাত বার বার আটকে দেয় তাদের বল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পর দ্বিতীয়য়ার্ধে কোনো দলই পায়নি গোলের দেখা।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে ৫ মিনিট ইনজুরি সময় দেওয়া হয়। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটেই লিড বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল মালয়েশিয়া। তবে গোলকিপারকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয় তারা। তবে বাকি সময়টাতে বেশকিছু বড় আক্রমণ করেছে বাংলাদেশ। যেখানে গোলের বড় দুটো সুযোগ এসেছিল। তবে দুটো সুযোগই হাতছাড়া করেছে স্বাগতিকরা। এরপর রেফারি শেষ বাঁশি বাজালে হার নিশ্চিত হয় লাল-সবুজদের।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬নভেম্বর২৫/বিটি