
জিম্বাবুয়েতে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল এক রুদ্ধশ্বাস জয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তার ম্যাচে ১ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন সামিউন বশির রাতুল। এরপর দ্বিতীয়বারের দেখায় হেরে গেলেও এবার তৃতীয়বারের দেখায় জয় তুলে নিয়েছে টাইগার যুবারা। এবারও জয়ের নায়ক সেই সামিউন।
আজ বুধবার (৬ আগস্ট) ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে সামিউনের ঝোড়ো ইনিংসে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সিরিজের চতুর্থ জয়ের দেখা পেয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
হারারেতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলিং দাপটে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। জবাবে খেলতে নেমে ৬৮ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর সামিউনের ঝোড়ো ফিফটিতে ৫ উইকেট হাতে রেখেই ৩০তম ওভারেই জয় নিশ্চিত করে টাইগার যুবারা।
জয়ের নায়ক সামিউন ৩৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কার মারে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। ৪৭ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। এছাড়া ওপেনার রিফাত বেগের ব্যাট থেকে এসেছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান। ৪৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ওপেনার।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করে বুয়ান্দা মাজোলো। এছাড়া একটি উইকেট শিকার করেন পল জেমস।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারা। ইনিংসের শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে পল জেমসের ৩৩, আদনানের ১৬, ভিহান প্রিটোরিয়াসের ১৮ এবং শেষদিকে বেন্ডিল এমবাথার ৩৯ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করে ১৪৭ রানের পুঁজি গড়তে সক্ষম হয় প্রোটিয়া যুবারা।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ উইকেট শিকার করেন সানজিদ মজুমদার। দুটি করে উইকেট নেন আল ফাহাদ ও সামিউন বশির রাতুল। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজের ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। আগামী ৮ আগস্ট গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে ১০ আগস্ট ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আজিজুল হাকিমের দল।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬আগস্ট২৫/বিটি
