তৃতীয় টেস্টে জয়ে ফেরার জন্য ইংল্যান্ডের সামনে ছিল বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৩৫ রান যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই যা কখনো তাড়া করে জেতা হয়নি। শেষ পর্যন্ত অ্যাডিলেড টেস্টে ৮২ রানে হেরে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ৩–০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ইংল্যান্ড। আর এতে মাত্র ১১ দিনের মাথায় সিরিজ জয় করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া।
চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের অবস্থান অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। ৬ উইকেটে ২০৭ রান তুললেও ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা যারা তারা আউট হয়ে যায়। জ্যাক ক্রলি ৮৫ রান করে একাই লড়াই করেন। অন্যদিকে বেন ডাকেট, জো রুট, ওলি পোপ, হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের ব্যর্থতায় চাপ বাড়ে সফরকারীদের ওপর। দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন জেমি স্মিথ ও উইল জ্যাকস।
পঞ্চম দিনে এই দুজন মিলে ৯১ রানের জুটি গড়ে কিছুটা আশা জাগান। তবে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় সেটি যথেষ্ট ছিল না। ৬০ রান করা স্মিথ দলীয় ২৮৫ রানে মিচেল স্টার্কের বলে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর উইল জ্যাকস ও ব্রাইডন কার্স ৫২ রানের আরেকটি জুটি গড়লেও জয় পাওয়ার মতো অবস্থায় যেতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৪৭ রান করে জ্যাকসও স্টার্কের শিকার হন তিনি।
৩৩৭ রানে অষ্টম উইকেট পড়তেই ম্যাচ প্রায় শেষ হয়ে যায়। নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে অতিরিক্ত কিছু রান যোগ করে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। জোফরা আর্চার ও জশ টাং দ্রুত ফিরলে ৩৫২ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। অপরাজিত ৩৯ রান করেন ব্রাইডন কার্স।
এই জয়ে অ্যাশেজের ইতিহাসে আরেকটি দ্রুততম ইতিহাসের সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন অ্যালেক্স ক্যারি। প্রথম ইনিংসে ১০৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭২ রানের পাশাপাশি উইকেটের পেছনে নেন ৬টি ক্যাচ। ব্যাট ও গ্লাভস দুটোতেই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতে।
এদিকে বল হাতেও অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইউনিট ছিল সফল। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন নেন তিনটি করে উইকেট। একটি উইকেট যোগ করেন স্কট বোল্যান্ড। অজিদের দুর্দান্ত ব্যাটে-বলে সব মিলিয়ে অ্যাডিলেডেই নিশ্চিত হয়ে যায় অ্যাশেজ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১ডিসেম্বর২৫/টিএ
