পার্থে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টটা পুরোপুরি পেসারদের মঞ্চ হয়ে গেছে। দুই দিনের খেলা মিলিয়ে ব্যাটসম্যানদের যেন টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে এই টিকে থাকার লড়াইয়ে আপাতত এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও স্টোকস-কার্স-আর্চারের দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানে অলআউট করে ৪০ রানের লিড তুলে নিয়েছে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া মাঠে নামে ৯ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে। হাতে ছিল শুধু এক উইকেট। সকালে মাত্র ৯ রান যোগ হতেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ১৩২ রানে থেমে যায় অজিদের প্রথম ইনিংস। এর ফলে ইংলিশরা পায় ৪০ রানের লিড।
এর আগের দিন ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা হয় ইংল্যান্ডকে দিয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই স্টার্কের গতির সামনে টিকতে পারেনি তারা। ভেতরের সুইং, শর্ট বল আর নিখুঁত লাইন সব মিলিয়ে স্টার্ক একাই তুলে নেন ৭ উইকেট। ইংল্যান্ড থামে ৩২.৫ ওভারে ১৭২ রানে। অ্যাশেজ ইতিহাসে এর চেয়ে কম ওভারে অলআউট হওয়ার ঘটনা আছে মাত্র একবার, সেটা ১৮৮৭ সালে।
কিন্তু প্রথম ইনিংসে বল হাতে মাঠে ফেরার পর বিধ্বংসী রুপ নেন ইংলিশ পেসাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জোফরা আর্চারের বলে ধরা পরেন অভিষিক্ত জ্যাক ওয়েদারাল্ড। এরপর থেকে বল হাতে একাই গুড়িয়ে দেন স্টোকস। স্টোকস তুলে নেন ৫ উইকেট। কার্স ৩টি আর আর্চার নেন ২টি।
অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকার্ডই প্রমাণ করে তাদের ব্যাটসম্যানরা কতটা নিষ্প্রভ ছিল। সর্বোচ্চ ২৬ রান এসেছে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে। ক্যামেরন গ্রিনের ২৪, ট্রাভিস হেডের ২১ আর স্মিথের ১৭ ছাড়া কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের ইনিংসে হ্যারি ব্রুক ৫২, ওলি পোপ ৪৬ আর জেমি স্মিথ ৩৩ রান করে কিছুটা লড়াইয়ের আশা জাগিয়েছিল। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে ইংলিশরা।
অস্ট্রেলিয়া: উসমান খাজা, জেক ওয়েদারঅ্যাল্ড, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), ট্র্যাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স কেরি (উইকেটকিপার), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, ব্রেন্ডন ডগেট, স্কট বোল্যান্ড।
ইংল্যান্ড: বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার, মার্ক উড।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২নভেম্বর২৫/টিএ