বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এএফবি বক্সিং প্রমোশন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লাতিন-বাংলা সুপার কাপ। যেখানে বাংলাদেশ বাদেও অংশ নিয়েছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুটি দল। তবে চলমান এই প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু বিশৃঙ্খলা ও শর্ত পূরণ না করায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলের মধ্যকার ম্যাচটি স্থগিত করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দলের মধ্যে শেষ ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগে আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে তা তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় স্টেডিয়াম বরাদ্দ বাতিলের পাশাপাশি ম্যাচ স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে।
লাতিন-বাংলা সুপার কাপে ইতোমধ্যে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিজেদের একটি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। এই প্রতিযোগিতায় বাকি কেবল আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মুখোমুখি একটি ম্যাচ। তবে গতকাল বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা ম্যাচে বিশৃঙ্খলার ঘটনা এবং আয়োজক কর্তৃক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের শর্ত পূরণ না করায় এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রদত্ত শর্তসমূহের মধ্যে টিকিট বিক্রির পূর্ণাঙ্গ হিসাব সহকারে মোট টিকিট বিক্রির ৫০ শতাংশ অর্থ প্রতিটি ম্যাচ শুরুর পূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকুলে জমা প্রদান এবং খেলার পর নিজ দায়িত্বে স্থাপনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা, এ দুটি শর্ত ইতোমধ্যে লঙ্ঘিত হয়েছে।’
আরও বলা হয়, ‘সর্বোপরি ম্যাচ আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনা এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে ৮ ডিসেম্বরের ম্যাচে আয়োজকদের কিছু উশৃঙখল ও উদ্ধত সদস্যের দ্বারা কয়েকজন সাংবাদিক শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন যা অত্যন্ত দু:খজনক। এমতাবস্থায়, আগামী ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় ম্যাচ আয়োজন আপাতত স্থগিত রাখা হলো।’
এছাড়া বিগত দুই ম্যাচের টিকিট বিক্রির অর্থ প্রদানের সময়সীমা বেধে দিয়েছে মন্ত্রণালয়, ‘০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকাল ৪:০০ টার মধ্যে ৫ ও ৮ ডিসেম্বর আয়োজিত ২ (দুই) টি ম্যাচের টিকিট বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্বের পূর্ণাঙ্গ হিসাব বিবরণীসহ তদসংশ্লিষ্ট ৫০ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অনুকুলে জমা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
ক্রিফোস্পোর্টস/৯ডিসেম্বর২৫/এফএএস