
উইম্বলডনের রণাঙ্গনে এখন কোয়ার্টার ফাইনালের উত্তেজনা তুঙ্গে। পুরুষ ও নারী এককে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়, যাদের দাপটে জমে উঠেছে টেনিসের এই মহারণ। তবে এর মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে নতুন স্বয়ংক্রিয় লাইন কলিং প্রযুক্তি নিয়ে বিতর্ক।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কার্লোস আলকারাস তার জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। রবিবার রাতে পুরুষদের শেষ ষোলোর ম্যাচে আন্দ্রে রুবলেভকে ৫-৭, ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ সেটে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছেন স্প্যানিশ এই তরুণ। কোয়ার্টার ফাইনালে তার সামনে কঠিন পরীক্ষা, তিনি মুখোমুখি হবেন ব্রিটিশ তারকা ক্যামেরন নরির।
অন্যদিকে, ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী নোভাক জকোভিচও দাপটের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। সোমবার তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউরকে ১-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে নিজের জায়গা নিশ্চিত করেছেন।ই
ইতালির ফ্লাভিও কোবোল্লিও চমক দেখিয়ে মারিন চিলিচকে ৬-৪, ৬-৪, ৬-৭, ৭-৬ সেটে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন:
» ওয়ানডে সিরিজ হারের পর যা বললেন মিরাজ
» ভুটানের পারো এফসিতে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন ঋতুপর্ণা-মনিকা
নারী এককেও তারকাদের দাপট চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের দ্বিতীয় বাছাই অ্যারিনা সাবালেঙ্কা রবিবার রাতে এলিস মার্টেন্সকে ৬-৪, ৭-৬ সেটে হারিয়ে শেষ আটে উঠেছেন। আজ তিনি জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী লরা সিগেমুন্ডের বিরুদ্ধে খেলবেন।
এছাড়াও নারী এককে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন আমান্ডা আনিসিমোভা, বেলিন্দা বেন্সিচ ও লিউডমিলা সামসোনোভা।
এবারের উইম্বলডনে পরীক্ষামূলকভাবে লাইন আম্পায়ারদের বদলে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ইলেকট্রনিক লাইন কলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি আধুনিকীকরণের একটি পদক্ষেপ হলেও, এর কার্যকারিতা নিয়ে এরই মধ্যে বিতর্ক উঠেছে।
সম্প্রতি সোনে কার্টাল ও আনাস্তাসিয়া পাভলিউচেঙ্কোভার ম্যাচে একটি স্পষ্ট ত্রুটি ধরা পড়ে। একটি বল পরিষ্কারভাবে ‘আউট’ হলেও প্রযুক্তি তা সঠিকভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়।
এ নিয়ে পাভলিউচেঙ্কোভা খেলা থামিয়ে চেয়ার আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ জানান। যদিও সেই পয়েন্টটি কার্টালের পক্ষে গেলে তিনিই গেমটি জেতেন। তবে শেষ পর্যন্ত পাভলিউচেঙ্কোভাই ম্যাচে জয়ী হন।
এই ঘটনা প্রযুক্তির নির্ভুলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে, এবং টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে এর ব্যবহার কতটা সমালোচনামুক্ত থাকবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৯জুলাই২৫/এসএইচএ
