অধিনায়ক হলেই দল চ্যাম্পিয়ন আকবর আলীর ক্ষেত্রে বিষয়টা যেন নিয়মে পরিণত হচ্ছে। সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ঘরোয়া লিগের বিভিন্ন দলকেও তিনি একের পর এক নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অসাধারণ নেতৃত্বগুণেই দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠে। যেজন্য আলাদাভাবে তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কোন জাদুতে বারবার সফল হন অধিনায়ক আকবর? অবশ্য ফোনে কথা বলতে শুরু হতেই তিনি হাসিমুখেই তা উড়িয়ে দিলেন। বললেন, এমন কোনো জাদু নেই। কিন্তু মাঠের ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা।
এই মৌসুমে ঘরোয়া ক্রিকেটে যে দুইটি টুর্নামেন্ট হয়েছে, দুটিতেই শিরোপা জিতেছে আকবরের নেতৃত্বাধীন রংপুর বিভাগ। গতকাল জাতীয় ক্রিকেট লিগ জয়ের পর রংপুরে ফেরার পথে গাড়ির মধ্যেই নিজের নেতৃত্বের ধারণাটা তুলে ধরলেন তিনি। তাঁর কথায়, পরিকল্পনা কখনোই একার নয় দলের সবাই নিজের দায়িত্বটা ঠিকভাবে পালন করলেই ফল আসে।
অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপে তাঁর অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে চারটি শিরোপা এনে দিয়েছেন। দুটো জাতীয় ক্রিকেট লিগে, দুটো এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে। রংপুর আগে যেখানে মাত্র একবার জাতীয় লিগ জিতেছিল, সেখানে আকবরের নেতৃত্বে তিন তিনবার শিরোপা জিতল রংপুর।
তবে তাঁর নেতৃত্বের দর্শনও আলাদা। তিনি খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেন, অতিরিক্ত চাহিদা রাখেন না। যে কাজটা একজন খেলোয়াড়ের করার ক্ষমতা আছে, সেটাই করতে বলেন। এদিকে তরুণ ক্রিকেটার আর অভিজ্ঞদের নিয়ে রংপুরের টিম নিয়েও গর্বিত আকবর। তাঁর মতে, দলের ভেতরে সবাই নিঃস্বার্থভাবে খেলতে চায় ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের প্রয়োজনটাই বড়।
শুধু অধিনায়কত্ব নয়, ব্যাট হাতেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় দেড়শর কাছাকাছি। জাতীয় লিগে ইচ্ছে মতো রান করতে না পারার আক্ষেপ আছে, তবে সামগ্রিকভাবে তিনি নিজের উন্নতির প্রক্রিয়া নিয়েই সন্তুষ্ট।
এদিকে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেকেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন, সেখানে আকবর এখনো কেন দলের বাইরে? এ নিয়ে তিনি বলেন, এই লক্ষ্যটা তাঁর মাথায় সব সময় থাকে। অনুশীলন হোক বা কোনো প্রতিযোগিতা, সুযোগ এলে প্রস্তুত থাকতে চান।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/টিএ