
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা আশানুরূপ হলো না সবশেষ আসরের রানার্সআপ বাংলাদেশের। পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। শুরুতে বোলারদের ব্যর্থতার পর দুইশোর্ধ্ব রানের বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েও মাঝের বিপর্যয়ের কারণে বড় ব্যবধানে হেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনসের কাছে ৭৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ডারউইনের মারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে খেলতে নেমে ১৬.৫ ওভারে ১৪৮ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ফিরে যান নাঈম শেখ। উবেইদ শাহর বলে বোল্ড হয়ে ৫ রান করে ফেরেন এই ওপেনার। এরপর জিশান আলম ও সাইফ হাসান মিলে শুরুর বিপত্তি সামাল দেন। দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেন তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৮ বলে ৮৬ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

সাইফ-জিশানের জুটিতে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ছবি- নর্দান টেরিটরি ক্রিকেট
দলীয় ৯২ রানের মাথায় মাজ আহমেদ সাদাকাতের শিকার হয়ে ফেরেন জিশান। দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ওপেনার ১৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কার মারে ৩৩ রান করে ফেরেন। আর এই জুটি ভাঙার পরেই বাঁধে বিপত্তি। ১০১ রানের মাথায় ফিরে যান নতুন ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৮ বলে ৬ রান করেন তিনি।
এরপর ফিফটি তুলে নেন সাইফ। তবে ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন এই ব্যাটার। দলীয় ১১৫ রানের মাথায় ওয়াসিম জুনিয়রকে উইকেট দিয়ে ফেরেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৭ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
সাইফ ফেরার পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। একে একে অঙ্কন-রাব্বি-সোহানদের হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় লাল-সবুজের দল। সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে ছুতে পারেননি। পাকিস্তানের পক্ষে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন সাদ মাসুদ ও ফয়সাল আকরাম। এছাড়া ওয়াসিম ২টি এবং উবেইদ ও সাদাকাত একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন ফিফটিতে ২২৭ রানের পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ইয়াসির খান। ৪০ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন আরেক ওপেনার খাজা নাফে। ৩১ বলের এই ঝোড়ো ইনিংসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কার মার ছিল।
দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা আব্দুল সামাদ করেন ৫৬ রান। ২৭ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান এই মারকুটে ব্যাটার। এছাড়া ১২ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ২৫ রানের ঝোড়ো ক্যামিও খেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক ইরফান খান নিয়াজি। বাংলাদেশের পক্ষে একটি করে উইকেট শিকার করেন রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও হাসান মাহমুদ।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪আগস্ট২৫/বিটি
