
“Ee Sala Cup Namdu” হলো কন্নড় ভাষার একটি বাক্য। এর মানে হলো- এইবার কাপ আমাদের। এটি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ভক্তদের স্লোগান। বছরের পর বছর ধরে এই স্লোগান দিয়ে আসছেন তারা। তবে কখনও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। অবশেষে আইপিএলের ১৮তম আসরে স্লোগানটি বাস্তব রূপ পেয়েছে। ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতেছে দলটি।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ২০২৫ আইপিএলের ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তিন ফাইনাল হারের পর চতুর্থ ফাইনালে এসে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন বিরাট কোহলিরা।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের বেশি করতে পারেনি পাঞ্জাব।
আরও পড়ুন :
» সৌরভ গাঙ্গুলীর বায়োপিক, শুরুর আগেই বড় ধাক্কা!
» ২০২৫ আইপিএলে শিরোপাজয়ী দল কত টাকা পাবে?
এদিন রানতাড়ায় নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল পাঞ্জাব। তবে পাওয়ারপ্লের পঞ্চম ওভারে জশ হ্যাজেলউডের শিকার হয়ে ফিরে যান প্রিয়াংশু আর্য (২৪)। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তুলে নেয় তারা। তবে পাওয়ারপ্লের পর ফাইনালের চাপটা স্পষ্ট ছিল পাঞ্জাবের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। ক্রুনাল পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ফিরে যান আরেক ওপেনার প্রভসিমরান সিং (২৬)।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মাঠে আসেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। তবে আগের ম্যাচে জয়সূচক ইনিংস খেলে দলকে ফাইনালে তোলা এই ব্যাটার আজ সুবিধা করতে পারেননি। জস ইংলিসের সঙ্গে সেট হওয়ার আগেই মাত্র ১ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর নেহাল ওয়াধিরাকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ইংলিস। তবে দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। এই অজি তারকার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৩৯ রান।
ইংলিস ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন ওয়াধিরা ও শশাঙ্ক সিং। দলীয় ১৩৬ রানে ওয়াধিরাকে ফিরিয়ে এই বিপজ্জনক জুটি ভেঙে দেন ভুবনেশ্বর কুমার। এই জুটি ভাঙার পরই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় পাঞ্জাব। শেষদিকে একাই লড়ে যান শশাঙ্ক। শেষ ওভারে পাঞ্জাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। তবে শশাঙ্ক ৩ ছয় ও ১ চারে কেবল ২২ রান তুলতে সক্ষম হন। এতে জয় নিশ্চিত হয় কোহলিদের।
বেঙ্গালুরুর পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন ভুবনেশ্বর ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন যশ দয়াল, হ্যাজেলউড, রোমারিও শেফার্ড।
আরও পড়ুন :
» সাকিবের রেকর্ড ভেঙে আইপিএলে নতুন মাইলফলক মুস্তাফিজের
» শতক হাঁকিয়ে মাঠেই ডিগবাজি, পেছনে হতাশার গল্প!
এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরুর বার্তা দিয়ে ৯ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান ইংলিশ ওপেনার ফিল সল্ট। এরপর মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে নিয়ে বিপত্তি সামান দেন বিরাট কোহলি। পাওয়ারপ্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তুলে নেয় তারা। তবে পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় আরসিবি। দলীয় ৫৬ রানের মাথায় ফিরে যান মায়াঙ্ক (২৪)।
এরপর রজত পতিদরকে নিয়ে আরও ৪০ রান যোগ করেন কোহলি। এ যাত্রায় পাঞ্জাবের শিকার রজত। ২৬ রান করে ফেরেন আরসিবির দলপতি। এরপর সেট ব্যাটার কোহলি মাইলফলকে পৌঁছানোর আগেই ফিরে যান। ৩৫ বলে ৪৩ রান করেন এই তারকা ব্যাটার। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৫, জিতেশ শর্মার ২৪ এবং রোমারিও শেফার্ডের ১৭ রানের ক্যামিওতে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় দলটি।
পাঞ্জাবের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন কাইল জেমিসন ও আর্শদীপ সিং। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, বিজয়কুমার ও চাহাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৯০/৯ (২০ ওভার)
পাঞ্জাব কিংস: ১৮৪/৭ (২০ ওভার)
ফলাফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৬ রানে জয়ী
ক্রিফোস্পোর্টস/৩জুন২৫/বিটি
