
সুপার ফোরের সমীকরণ মেলাতে আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ লঙ্কানরা আফগানদের হারাতে পারলেই নেট রানরেটের কোনো ঝামেলা ছাড়া সুপার ফোরে উঠবে টাইগাররা।
লিটনদের ভাগ্য জড়ানো ম্যাচে আগে বোলিং করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের সামনে সুযোগ ছিল আফগানদের একশোর মধ্যেই আটকে দেওয়ার। তবে শেষদিকে মোহাম্মদ নবির ঝোড়ো ফিফটিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তুলেছে আফগানরা।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও সেদিকুল্লাহ অটল। প্রথম দুই ওভারেই ২৬ রান তুলে নেন তারা। এরপরেই আঘাত হানেন নুয়ান থুশারা। গুরবাজকে এলবিডব্লিউর ফাদে ফেলে ফেরান তিনি। ৮ বলে ১৪ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
একই ওভারের শেষ বলে ফের আঘাত হানেন থুশারা। তিনে নামা করিম জানাতের স্টাম্প উড়িয়ে ১ রানে ফেরান এই পেসার। পঞ্চম ওভারে নিজের তৃতীয় স্পেলে এসে ফের আঘাত হানেন থুশারা। এবার তার শিকার আরেক ওপেনার সেদিকুল্লাহ। ১৪ বলে ১৮ রান তোলার পর বোল্ড হয়ে ফেরেন এই তরুণ ওপেনার।
পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারানোর পর দরবেশ রাসুলিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম জাদরান। ২৪ রান যোগ করার পর রাসুলিকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন দুশমন্ত চামিরা। ১৬ বলে ৯ রান করে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর ৭১ রানের মাথায় আজমতউল্লাহ ওমরজাই (৬) এবং ৭৯ রানের মাথায় জাদরানের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। অনেকক্ষণ মাঠে থাকার পর ২৭ বলে ২৪ রান করে ফেররেন জাদরান।
এরপর ম্যাচের হাল ধরেন রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি। দুজন মিলে যোগ করেন ৩৫ রান। ১৭তম ওভারে শেষবারের মতো বোলিংয়ে ফের আঘাত হানেন থুশারা। রশিদকে ২৪ রান ফিরিয়ে ভাঙেন জুটি। তবে শেষদিকে নবির ঝোড়ো ইনিংসে দেড়শো পেরোয় আফগানরা। শেষ ওভারে ৫ ছক্কায় ৩২ রান তুলে নেন তিনি। তাতে ২২ বলে ৬০ রান করেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৮সেপ্টেম্বর২৫/বিটি
