
বিশ্বে অসংখ্য ফুটবলার রয়েছেন যারা খেলাধুলার বাইরে পার্টটাইম বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কেউ করেন ব্যবসা, কেউ আবার খুলে ফেলেন ক্রীড়া একাডেমী। যদিও তাদের মূল ফোকাস থাকে ফুটবল ঘিরেই। তবে ক্লাব বিশ্বকাপে যেন দেখা যাবে ভিন্ন এক চিত্র। যেখানে খেলবে বিভিন্ন পেশায় কর্মরতদের নিয়ে গড়া দল।
নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি এফসির কথা বলা হচ্ছে। যেখানে কেউ ফুলটাইম নাপিত, কেউ দোকান কর্মী, কেউ আবার বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। দলটির স্কোয়াডে আছেন কাঠমিস্ত্রি থেকে শুরু করে রিয়েল এস্টেট এজেন্টও। এমন সব ভিন্ন পেশাজীবী নিয়ে গড়া অকল্যান্ড সিটি খেলতে যাচ্ছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে।
ক্লাব বিশ্বকাপের এই প্রতিযোগিতায় বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ, পিএসজি কিংবা বার্সেলোনার মত দল। সেখানে অর্থবিত্তে রীতিমত শূন্য হাতে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের পথে এগিয়ে চলেছে অপেশাদার ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। যেখানে বিনা পারিশ্রমকে খেলতে হয় ফুটবলারদের। যারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন বিভিন্ন পেশার মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
» রেকর্ড মূল্যে রিয়ালে পাড়ি জমালেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার
» বোলার স্টার্ক ব্যাট হাতে গড়লেন একাধিক বিশ্বরেকর্ড
এই বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার পর অকল্যান্ড সিটি এফসির ব্যবস্থাপক গর্ডন ওয়াটসন বলেন, ‘বিশ্ব ফুটবলে ৯৯ ভাগ ক্লাবই অপেশাদার। ক্লাব বিশ্বকাপে আমরা তাদের প্রতিনিধি। দলের প্রত্যেকেই বাইরে অন্য কাজ করে। নয়টা থেকে পাঁচটা, এমনকি কখনও কখনও কর্মক্ষেত্রে এর থেকেও বেশি সময় দিতে হয়। এরপর ট্রেনিং ও ম্যাচ খেলা সত্যি কঠিন কাজ।’
ফুলটাইম চাকুরিজীবী এসব ফুটবলাররা সপ্তাহে মাত্র তিন থেকে চার বার ট্রেনিংয়ের সুযোগ পান। মাঝে হয়তো খেলতে পারেন মাত্র এক ম্যাচ। যদিও প্রতি ম্যাচে সকল ফুটবলারকে একসাথে পাওয়া অনেক সময় হয়ে ওঠে কঠিন। ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে নিজেদের কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়ে এসেছেন সেই সকল ফুটবলাররা। তাও খেলতে হবে বিনা পারিশ্রমিকে।
অপেশাদার হলেও দারুণ সফল অকল্যান্ড সিটি এফসি। ২০০৪ সাল থেকে পথচলা শুরু দলটির। এরপর দশবার তারা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব চ্যাম্পিয়ন। ১৩ বার জিতেছে ওশেনিয়া অঞ্চলের ওএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর ১৩ বারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপে। যেখানে ২০১৪ আসরে তারা হয়েছিল টুর্নামেন্টের তৃতীয়।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৪জুন২৫/এফএএস
