বাংলাদেশের আয়তন প্রায় ১,৪৭,৬১০ বর্গ কিলোমিটার। তবে এরচেয়েও ৩৩২ গুন ছোট একটি দ্বীপ দেশ– কুরাসাও। যা আকারে ঢাকা জেলার চেয়েও তিনগুন ছোট। ক্যারিবীয় সাগরের দক্ষিণে ভেনিজুয়েলার উপকূলের কাছে অবস্থিত এই দেশের আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গ কিলোমিটার। যেখানে দেশটির জনসংখ্যা সবমিলিয়ে দেড় লাখের কিছুটা বেশি।
এবার প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে নাম লেখানোর দ্বারপ্রান্তে অতি ক্ষুদ্র আকারের এই দেশটি। শেষ পর্যন্ত আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারলে কুরাসাও বনে যাবে বিশ্বকাপে খেলার সবথেকে ছোট আকারের দেশ। এতদিন বিশ্বকাপের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল কেপ ভার্দে (৪,০০০ বর্গ কিলোমিটার)।
বাছাইপর্বে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের ক্ষুদ্র এই দ্বীপ-রাষ্ট্রটি গত শুক্রবার বারমুডাকে পরাজিত করে ৭-০ গোলে। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে কনকাকাফ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে দলটি। আগামী বুধবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা জ্যামাইকার বিপক্ষে পরাজয় এড়াতে পারলেই বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নিশ্চিত করবে কুরাসাও।
এর আগে ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে নাম লিখিয়ে চমক দিয়েছিল আইসল্যান্ড। সে সময় দেশটির জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৩ লাখ ৫০ হাজার। এরপর কদিন আগে জনসংখ্যার হিসাবে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম ও আয়তনের বিচারে সবথেকে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে কেপ ভার্দে। যাদের জনসংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজারের কম।
তবে এবার আয়তন এবং জনসংখ্যা সবকিছুর বিচারেই বিশ্বের সবথেকে ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে ফুটবলের মহা আয়োজনে অংশ নিতে যাচ্ছে কুরাসাও। তবে এর জন্য বাছাইপর্ব থেকে তাদের প্রয়োজন আরও ১ পয়েন্ট। তবে জ্যামাইকার বিপক্ষে হেরে গেলেই স্বপ্ন ভঙ্গ হবে এই দ্বীপ দেশটির। তাই কুরাসাওকে বিশ্বকাপে যেতে অন্তত পরাজয় এড়াতে হবে এই ম্যাচে।
ক্রিফোস্পোর্টস/১৬নভেম্বর২৫/এফএএস