বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অধিনায়ক কে হবে তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা আলোচনা। সকল আলোচনার সমাপ্তি ঘটিয়ে দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল সৈকত আলীকে।
তবে প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হেরে বিপর্যস্ত অবস্থায় নবাগত এই ফ্রাঞ্চাইজিটি। তাই তৃতীয় ম্যাচে বড় পরিবর্তন এনেছে দলটি। অধিনায়কত্ব হারানোর পাশাপাশি একাদশ থেকেও বাদ পড়েছেন সৈকত আলী।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নোয়াখালীর অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হায়দার আলী। নিলাম শেষে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অধিনায়ক হওয়ার দৌঁড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিলেন জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলী অনিক। জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। এছাড়াও আলোচনায় ছিল হাসান মাহমুদ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের নাম। কিন্তু সবাইকে অবাক করে সৈকত আলীর ওপর ভরসা রেখেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
কিন্তু দলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি সৈকত। তার নেতৃত্বে টানা দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছে নোয়াখালী। সিলেটের বিপেক্ষে জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও নেতৃত্বে অপরিপক্কতার দেখা মিলেছে ম্যাচজুড়ে।
তাই তৃতীয় ম্যাচে সৈকতের উপর আস্থা রাখেনি দল, নোয়াখালী কর্তৃপক্ষ নেতৃত্বের ভার দিয়েছেন হায়দার আলীর কাঁধে। আর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব হারানোর সঙ্গে সঙ্গে দল থেকেও বাদ পড়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটার সৈকত আলী।
রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে নোয়াখালীর একাদশ:
মাজ সাদাকাত, হাবিবুর রহমান সোহান, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, হায়দার আলী (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান রানা, জহির খান, রেজাউর রহমান রাজা ও বিলাল সামি।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯ডিসেম্বর২৫/এআই
