রংপুর রাইডার্সের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারল না চট্টগ্রাম রয়্যালস। বিপিএলের চলমান আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০২ রানেই থেমে গেল মাহেদীর নেতৃত্বাধীন দলটি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাহিম আশরাফ ও মুস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই অনেকটা ছিটকে যায় চট্টগ্রাম।
এদিন টস জিতে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান শুরুতেই চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পায় রংপুর। নাহিদ রানার করা ওই ডেলিভারিতে ইংলিশ ব্যাটার অ্যাডাম রসিংটন মাত্র ১ রান করে ফিরলে চাপে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।
চাপ সামাল দিতে দ্বিতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মির্জা বেগ। দুজনের ব্যাটেই আসে দলের সর্বোচ্চ জুটি। তবে সেটাও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বেগ ২৪ বলে ২০ রান করে আউট হন। নাঈম কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
এরপরই শুরু হয় ব্যাটিং ধস। ফাহিম আশরাফ ও মুস্তাফিজুর রহমানের টানা আক্রমণে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। মাঝের ও নিচের সারির ব্যাটাররা কেউই উইকেটে দাঁড়াতে পারেননি। শেষ আট ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল আবু হায়দার রনি। তিনি করেন ২১ বলে ১৩ রান। বাকি ব্যাটারদের রান ছিল এক অঙ্কেই সীমাবদ্ধ।
মাহমুদুল হাসান জয় রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মাহফিজুল ইসলাম করেন ১, মাসুদ গুরবাজ ৯, অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান ১, তানভীর ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম করেন ৬ রান করে। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর ব্যাট থেকে আসে ১ রান।
রংপুরের হয়ে দিনটি পুরোপুরি ফাহিম আশরাফের। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন মুস্তাফিজুর রহমান, যিনি শিকার করেন দুটি উইকেট। এছাড়া নাহিদ রানা, সুফিয়ান মুকিম, আলিস আল ইসলাম একটি করে উইকেট নেন।
সব মিলিয়ে রংপুরের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ১০৩ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের জন্য ম্যাচে ফেরার পথ কঠিন হয়ে গেল শুরুতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নামবে রংপুর রাইডার্স।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯ডিসেম্বর২৫/টিএ
