বিপিএলের সিলেট পর্বই হয়ে উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার শেষ মঞ্চ। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এমন ইঙ্গিত মিলেছে বিসিবির নির্বাচকদের কথায়। জাতীয় দলের কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছে এবারের বিপিএল যেখানে প্রস্তুতির সুযোগ, সেখানে নাজমুল হোসেন শান্তর মতো কারও জন্য এটি সরাসরি বিশ্বকাপ দলে ফেরার লড়াই।
রাজশাহীর হয়ে প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন শান্ত। তাঁকে ঘিরে সমালোচনাকে অমূলক বলছেন দলটির সিনিয়র সহকারী কোচ রাজিন সালেহ। তাঁর মতে, শান্ত নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছে, সেটার ফলই মাঠে দেখা গেছে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপ দলে শান্তর ফেরাটা সময়ের ব্যাপার বলে মনে করছেন কোচিং স্টাফ।
তবে প্রশ্ন একটাই পুরো বিপিএল না দেখেই কি দল ঘোষণা হয়ে যাবে? উত্তরটাও প্রায় জানা। বিসিবির নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু ও হাসিবুল হোসেন শান্ত এই মুহূর্তে সিলেটে অবস্থান করছেন। নির্বাচক সূত্রে জানা গেছে, আইসিসির নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যেই বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল জমা দিতে হবে। লজিস্টিক্যাল বাস্তবতা মাথায় রেখেই সিলেট পর্ব শেষ হওয়ার আগেই দল চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে বোর্ড।
নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, দল জমা দেওয়ার পরও আইসিসির সাপোর্ট পিরিয়ডের আগে সীমিত পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। তবে সেটি এক বা দুই জায়গার বেশি নয়। আগের বিশ্বকাপের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন সব দলই করে থাকে। মূল চাওয়া সব খেলোয়াড় যেন ফিট থাকে এবং ফর্ম ধরে রাখে।
যদিও ১ জানুয়ারির মধ্যে আইসিসিতে দল পাঠানো হবে, বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। এর মধ্যেই বিপিএলের চারটি ম্যাচ শেষ হয়েছে। শুরুর দিকে বড় স্কোর দেখা গেলেও পরে ম্যাচগুলো হয়েছে মাঝারি রানের। সিলেটে রাতের কুয়াশা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বোলার ও ফিল্ডারদের জন্য।
কন্ডিশন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে লিপু বলেন, কুয়াশার কারণে বোলারদের কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে ক্রিকেটে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই মূল চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করেন, এমন পরিবেশে আরও প্রস্তুতির সুযোগ তৈরি করা দরকার, যাতে খেলোয়াড়রা মানসিকভাবে অভ্যস্ত হতে পারে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৯ডিসেম্বর২৫/টিএ
