মালিকানা বদলের পর স্কোয়াড নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনায় নেমেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে বিপিএলের বাকি অংশের জন্য দল পুনর্গঠনে করছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। সেই প্রক্রিয়ায় নিলামে দল না পাওয়া ওপেনার সাদমান ইসলামকে দলে ভিড়িয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। একই সঙ্গে তিনজন পাকিস্তানি বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গেও চুক্তি করেছে চট্টগ্রাম।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি–টোয়েন্টির সর্বশেষ আসরে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পরও বিপিএলের নিলামে অবিক্রিত ছিলেন সাদমান। মূলত গায়ে টেস্ট ওপেনারের তকমা লাগার পর থেকেই বিপিএলে কোনো দল নিতে আগ্রহ দেখায় না। নিলামে কোনো দল না পেলেও টুর্নামেন্ট চলাকালীন দল পেলেন এই বাঁহাতি ওপেনার। ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই তাকে দলে যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কর্তৃপক্ষ।
সাদমানের জন্য এটি বিপিএলে ফেরার সুযোগ। ২০২০ সালের পর আবার বিপিএলের মঞ্চে খেলবেন তিনি। এর আগে ঢাকা ডায়নামাইটস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে খেলেছেন এই ওপেনার। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে ভালো ছন্দেই আছেন তিনি। সর্বশেষ এনসিএল টি–টোয়েন্টিতে ৬ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিসহ ১৯২ রান করেন সাদমান, যেখানে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১ দশমিক ১৮।
সাদমানের পাশাপাশি তিনজন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকেও দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। তারা হলেন আসিফ আলী, আমের জামাল ও হাসান নাওয়াজ। এর মধ্যে আসিফ আলী ও আমের জামালের বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নতুন মুখ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন হাসান নাওয়াজ।
এই সংযোজনগুলোকে সামনে রেখে স্কোয়াড শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম। বর্তমানে চট্টগ্রাম রয়্যালসের দলে আছেন শেখ মেহেদী, তানভির ইসলাম, নাইম শেখ, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, শুভাগত হোম চৌধুরী, আরাফাত সানি, আবু হায়দার রনি, সুমন খানসহ স্থানীয় ও বিদেশি ক্রিকেটারদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয়। এখন নতুন করে এই চার ক্রিকেটারের সংযোজন স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রামের স্কোয়াডকে আরও শক্তিশালী করবে
এদিকে বিপিএল শুরুর একদিন আগে চট্টগ্রামের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের দায়িত্ব তুলে নেয় বিসিবি। নোয়াখালীর বিপক্ষে একজন বিদেশি নিয়ে খেলেও জয় তুলে নিয়েছে শেখ মাহেদীর নেতৃত্বাধীন দল। দলের প্রত্যাশা সামনের ম্যাচগুলোতে আরও বিদেশি খেলাতে পারবে তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮ডিসেম্বর২৫/টিএ
