মৌসুমের শুরুতে যে চেলসিকে দেখে শিরোপার লড়াইয়ের কথা বলা হচ্ছিল, ডিসেম্বরে এসে সেই অবস্থাতে আর নেই। একের পর এক পয়েন্ট হারানো, পারফরম্যান্সের ওঠানামা সব মিলিয়ে যথেষ্ট চাপে আছে মেন ইন ব্লুরা। সেই চাপ আরও বাড়াল অ্যাস্টন ভিলা। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়িয়ে ২–১ ব্যবধানে জিতে শত বছরের পুরোনো এক কীর্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেল উনাই এমেরির দল।
শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ভিলার বিপক্ষে মাঠে নামে চেলসি। বলের দখল ও আক্রমণে প্রথমার্ধজুড়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ৬২ শতাংশ পজেশন, একের পর এক আক্রমণ সবকিছুই ছিল চেলসির পক্ষে। ৩৭ মিনিটের সময় রিস জেমসের নেওয়া কর্নারে জোয়াও পেদ্রোর পায়ে লেগে বল চলে যায় ভিলার জালে। প্রথমার্ধ শেষে লিড নিয়েই ড্রেসিংরুমে যায় চেলসি।
তবে বিরতির পর চিত্রটা পুরো বদলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন এক অ্যাস্টন ভিলাকে দেখা যায় মাঠে। আক্রমণে বাড়াতে থাকে তারা, গতিও বাড়ায়, অন্যদিকে চাপ বাড়ে চেলসির ওপর। ৬৩ মিনিটে বদলি নামা ওলি ওয়াটকিন্স গোল করে ম্যাচে ফেরান ভিলাকে। সতীর্থের দেওয়া বল থেকে নেওয়া তার শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে জালে ঢুকে পড়ে।
গোলের পরও থামেনি ভিলা। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় তারা। ফলে চেলসির রক্ষণ নড়বড়ে হয়ে যায়। ৮৪ মিনিটে কর্নার থেকে আবারও নায়ক ওয়াটকিন্স। উড়ে আসা বলে হেড করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজের দলের দিকে নিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চেলসি।
এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা আট ম্যাচ জিতল অ্যাস্টন ভিলা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাদের এটি টানা ১১ ম্যাচ জয়। এর আগে ১১১ বছর আগে টানা এত ম্যাচ জয়ের নজির ছিল ক্লাবটির। বর্তমান ভিলা সেই ইতিহাস ছুঁয়ে ফেলল আবারও।
লিগ টেবিলেও দারুণ অবস্থানে এমেরির দল। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ তিনে আছে ভিলা। সমান ম্যাচে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট যথাক্রমে ৪২ ও ৪০। অন্যদিকে চেলসির জন্য এই হার নতুন করে প্রশ্ন তুলছে তাদের ধারাবাহিকতা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। এই হার এড়িয়ে পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোই তাদের লক্ষ্য।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮ডিসেম্বর২৫/টিএ
