অনেক জল্পনা কল্পনা শেষে আজ শুরু হয়েছে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। বিপিএল শুরু হলেও একদিন আগেই চট্টগ্রামের অংশগ্রহণ নিয়ে এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তবে নানান অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও আজ ম্যাচ খেলেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএল শুরু করেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসের চারপাশে ছিল অনিশ্চয়তা আর অস্থিরতা। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক এক দিন আগে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা বদল, ম্যানেজমেন্টে বড় রদবদল, স্কোয়াডে কম বিদেশি ক্রিকেটার সব মিলিয়ে দলটি কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল ক্রিকেট পাড়ায়। তবে মাঠে নামার পর সেই সব প্রশ্নের জবাব শেখ মাহেদীরা দিয়েছে ব্যাটে-বলে।
এদিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। শুরু থেকেই ইনিংসের ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন ওপেনার মির্জা তাহির বেগ। এক প্রান্ত আগলে রেখে ধারাবাহিকভাবে রান তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৬৯ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮০ রান করেন তিনি। শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন তাহির বেগ।
মাঝের ওভারে অধিনায়ক শেখ মাহেদী ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করে দলের রান তোলার গতি বাড়ান তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় চট্টগ্রাম রয়্যালস। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ব্যাটিং নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, এই ইনিংসেই তার বড় অংশ কেটে যায়।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি নোয়াখালী এক্সপ্রেসের। চট্টগ্রামের বোলাররা নতুন বলেই চাপ তৈরি করেন। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নোয়াখালী। সর্বোচ্চ ২৭ বলে ৩৮ রান করেন মাজ সাদাকাত। এছাড়া বড় রান করতে পারেনি কেউ। জাতীয় দলের ব্যর্থতা বজায় ছিল জাকের আলীর ইনিংসেও। ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ১০৯ রানেই গুটিয়ে যায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। ফলে ৬৫ রানের বিশাল জয় পায় চট্টগ্রাম রয়্যালস।
বল হাতে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মেহেদী হাসান। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। এছাড়া তানভীর ইসলাম নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট পান শরীফুল ইসলাম ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭ডিসেম্বর২৫/টিএ
