ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল টি২০) মাঝপথেই সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়ছেন বাংলাদেশের দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া অনাপত্তিপত্রের (এনওসি) মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২৩ ডিসেম্বরের পর আর টুর্নামেন্টে থাকার সুযোগ নেই তাদের। সামনে বিপিএল থাকায় নির্ধারিত সময়েই দেশে ফিরছেন এই দুই তারকা।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই মুস্তাফিজ দুর্দান্ত বল করে গেছেন। ৮ ম্যাচে মোট উইকেট সংগ্রহ করেছেন ১৫ টি, ইকোনমি ৮.০৮। ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন একদিন। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিনি পৌঁছে গেছেন দুই নাম্বারে। সব মিলে মুস্তাফিজের এবারের আইএল টি-টোয়েন্টির যাত্রা স্মরণীয় হয়েই থাকবে। তালিকার শীর্ষে থাকা সতীর্থ ওয়াকার সালামখিলের চেয়ে মাত্র দুই উইকেট পিছিয়ে আছেন তিনি, যদিও সালামখিল একটি ম্যাচ বেশি খেলেছেন। দুবাইকেও মুস্তাফিজের না থাকার অভাব ভুগাবে।
দল হিসেবেও ভালো অবস্থানে রয়েছে দুবাই ক্যাপিটালস। নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে থেকে তারা ইতোমধ্যে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। মুস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এই সাফল্যের বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে তাসকিন আহমেদের আইএল টি২০ অধ্যায়টা শুরু হয়েছিল কিছুটা হতাশা নিয়ে। শারজাহ ওয়ারিয়র্সের হয়ে টুর্নামেন্টের শুরুতে একাদশে জায়গা পাননি তিনি। পরে সুযোগ এলেও ধারাবাহিকভাবে নিজেকে মেলে ধরার মতো সময় পাননি বাংলাদেশের এই স্পিডস্টার। ছয় ম্যাচে ৯ উইকেট নেন তাসকিন, ইকোনমি ৮.৭৫। উইকেটশিকারিদের তালিকায় যৌথভাবে আছেন দশ নম্বরে।
তবে তাসকিনের ব্যক্তিগত পরিসংখ্যানের চেয়ে বেশি হতাশাজনক ছিল তার দলের পারফরম্যান্স। শারজাহ ওয়ারিয়র্স নয় ম্যাচে মাত্র তিনটি জয় পেয়ে ছয় পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে রয়েছে। খাতা কলমে প্লে-অফের সম্ভাবনা থাকলেও সেই পথ অনেকটা কঠিনই মনে হচ্ছে।
এবার আইএল টি২০ শেষ করে দেশে ফিরেই বিপিএলের প্রস্তুতিতে যোগ দেবেন তাসকিন ও মুস্তাফিজ। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বিপিএলের দ্বাদশ আসর। জাতীয় দলের এই দুই পেসারকে সেখানে দেখা যাবে ভিন্ন দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সিতে। মুস্তাফিজ খেলবেন রংপুরের হয়ে, অন্যদিকে তাসকিন খেলবেন ঢাকার হয়ে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৫ডিসেম্বর২৫/টিএ
