লিস্ট–এ ক্রিকেটে একের পর এক রেকর্ড ভাঙার সাক্ষী হলো রাঁচি। বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট লিগের ম্যাচে অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫০ ওভারে ৫৭৪ রান তুলেছে বিহার। লিস্ট–এ ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে এটি সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
এই ঐতিহাসিক ইনিংসের প্রধান কারিগর ছিলেন বৈভব সূর্যবংশী ও সাকিবুল গনি। বাঁহাতি ওপেনার বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে লিস্ট–এ ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ বয়সে শতরানের রেকর্ড গড়েন। এখানেই থেমে যাননি তিনি। একই ইনিংসে দেড়শ রান পূর্ণ করেন লিস্ট–এ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বলে।
অন্য প্রান্তে আরও বিধ্বংসী ছিলেন বিহারের অধিনায়ক সাকিবুল গনি। তিনি মাত্র ৩২ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা লিস্ট–এ ক্রিকেটে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। সব মিলিয়ে এটি লিস্ট–এ ক্রিকেটের তৃতীয় দ্রুততম শতক।
সূর্যবংশী ও সাকিবুলের সঙ্গে সেঞ্চুরির তালিকায় যোগ দেন আয়ুশ লোহারুকা। তিন ব্যাটারের শতরানের ওপর ভর করেই রেকর্ড গড়া সংগ্রহে পৌঁছায় বিহার। এর আগে লিস্ট–এ ক্রিকেটে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ছিল তামিলনাড়ুর ২ উইকেটে ৫০৬ রান, সেটিও ছিল বিজয় হাজারে ট্রফিতেই, ২০২২ সালে অরুণাচলের বিপক্ষে।
এদিকে ৫৭৪ রানের মধ্যে বৈভব সূর্যবংশী ৮৪ বলে ১৯০ রান করে আউট হন। সাকিবুল গনি অপরাজিত থাকেন ৪০ বলে ১২৮ রানে। আয়ুশ লোহারুকা করেন ৫৬ বলে ১১৬ রান। পুরো ইনিংসে বিহার ব্যাটাররা মারেন ৩৮টি ছক্কা, যার মাধ্যমে আসে ২২৮ রান।
এই ম্যাচেই ভেঙে পড়ে একাধিক পুরোনো রেকর্ড। সাকিবুলের আগে ভারতের হয়ে লিস্ট–এ ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন আনমোলপ্রীত সিং, যিনি গত বছর এই বিজয় হাজারে ট্রফিতেই অরুণাচলের বিপক্ষে ৩৫ বলে শতক করেছিলেন।
এদিন আরও একটি কাকতালীয় ঘটনা ঘটে। সূর্যবংশীর ৩৬ বলে সেঞ্চুরিটি প্রথমে ছিল লিস্ট–এ ক্রিকেটে যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম। কিন্তু একই দিনে এবং একই টুর্নামেন্টে ঝাড়খণ্ডের হয়ে কর্ণাটকের বিপক্ষে ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করেন ইশান কিষান। ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানেই রেকর্ডের তালিকায় সূর্যবংশীর নাম দ্রুতই নেমে যায়।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪ডিসেম্বর২৫/টিএ
