২০২৫ সালের চূড়ান্ত হালনাগাদে সপ্তমবারের মতো ফিফা (পুরুষ) বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে উঠে এসেছে স্পন। এই কৃতিত্বে শুধুমাত্র ব্রাজিলই এগিয়ে; যারা ১৩ বার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছে।
লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা ২০২৬ সালেও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল হিসেবেই শুরু করছে। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ধারাবাহিক সাফল্য, বড় ম্যাচে আধিপত্য ও রক্ষণ-আক্রমণের ভারসাম্যই লামিনে ইয়ামালদের শীর্ষে ফেরাতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
২০২৫ সালে আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দলও বেশ উন্নতি করেছে।
সব মিলিয়ে, ২০২৫ সাল বিশ্ব ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি বছর হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আর সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষে থেকে নতুন বছর শুরু করছে স্পেন।
শীর্ষে স্পেন
২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত একটানা ছয় বছর ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিল স্পেন। এই সময়ের মধ্যেই তারা জিতে নেয় ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা ফিফা বিশ্বকাপ, পাশাপাশি দুটি উয়েফা ইউরো শিরোপা। ২০২৫ সালে স্পেন ফের সেই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো। এ বছর খেলা ১০ ম্যাচের মধ্যে একটিতেও নির্ধারিত সময়ে তার হারেনি। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনাল, যেখানে পর্তুগালের কাছে টাইব্রেকারে পরাজিত হয় দলটি।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ছিল স্পেনের দাপট। প্রথম পাঁচ ম্যাচে তারা কোনো গোল হজম না করেই পূর্ণ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ছিল তুরস্কের মাঠে ৬–০ ব্যবধানের জয় এবং বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৪–০ গোলের বড় জয়। শেষ বাছাই ম্যাচে তারা ‘ক্রিসেন্ট স্টারস’ খ্যাত দলের সঙ্গে ড্র করে।
নজর কাড়ল কসোভো
বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরুর আগে কসোভো ১৮টি প্রাথমিক ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল। এই সময়ে তারা মাত্র ৮টি গোল করলেও হজম করেছিল ৩৯টি গোল। তবে ২০২৫ সালে সেই দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে যায়। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারার পর ফ্রাঙ্কো ফোডার শিষ্যরা শেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত থাকে, যার মধ্যে তিনটিতে জয়। এতে করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় প্লে-অফে জায়গা করে নেয় কসোভো।
এই সাফল্যের সঙ্গে উয়েফা নেশনস লিগ ও প্রীতি ম্যাচে পাওয়া চারটি জয় যোগ হয়ে ‘দারদানেত’রা বছরে সর্বোচ্চ ৮৯.০২ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জন করে। তারা ৯৯তম স্থান থেকে উঠে আসে দেশের ইতিহাসে সেরা ৮০তম অবস্থানে। ১৯ ধাপ এগিয়ে কসোভো ছিল ২০২৫ সালের সবচেয়ে বড় উন্নতি করা দল।
এছাড়া আরও কয়েকটি দল উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে বছর শেষ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
সুরিনাম (১২৩তম) আগামী মার্চে ফিফা প্লে-অফ টুর্নামেন্টে জায়গা পেতে বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে। দলটি উন্নতি করেছে ১৫ ধাপ। এছাড়া নরওয়ে (২৯তম), প্যারাগুয়ে (৩৯তম) ও ফিলিপাইনস (১৩৬তম); প্রত্যেকেই ১৪ ধাপ করে এগিয়েছে।
এছাড়াও নাইজার (১১০তম), ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ (১২৫তম) ও সিঙ্গাপুর (১৪৮তম); প্রত্যেকেই ১২ ধাপ উন্নতি করেছে। সিঙ্গাপুরের জন্য এটি ২০১৪ সালের মে মসাএর পর বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ অবস্থান।
মহাদেশভিত্তিক সেরা পারফরমাররা (২০২৫)
| এএফসি (এশিয়া) | ফিলিপাইনস (+৪৪.২৮ র্যাঙ্কিং পয়েন্ট) |
| সিএএফ (আফ্রিকা) | কঙ্গো ডিআর (+৪৮.৩৯) |
| কনকাকাফ | হন্ডুরাস (+৫৩.৬১) |
| কনমেবল | প্যারাগুয়ে (+৪৩.২৪) |
| ওএফসি | পাপুয়া নিউগিনি (+১১.২৭) |
| উয়েফা | কসোভো (+৮৯.০২) |
ক্রিফোস্পোর্টস/২৩ডিসেম্বর২৫/এসএ

