ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ— সেই ম্যাচ ঘিরে উত্তাপ থাকবে না তা কি করে হয়! জাতীয় দল থেকে যুবাদের ক্রিকেট, মাঠ ও মাঠের বাইরে উত্তেজনার পারদ থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দুদেশের ম্যাচের উষ্ণতা ভক্তদের ছাড়িয়ে ছুঁয়ে যায় রাজনীতি ও সরকারি অঙ্গন পর্যন্ত। এবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে ভারকে হারানোর পরও তাই হয়েছে, যা যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে।
রোববার আমিরাতের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। যেখানে শেষ হাসি হাসে পাকিস্তানি যুবারা। অনেকটা এরপর অনেকটা অনুমেয় ভাবেই এলো বড় ঘোষণা, ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতা ক্রিকেটারদের জন্য বড় পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ সরফরাজ আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রতিটি ক্রিকেটারকে ১০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৩ লাখ টাকা) করে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এই ক্রিকেটাররা দেশকে গর্বিত করবে।
এদিকে যুব এশিয়া কাপ জয়ের পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। সেই সাক্ষাৎ এর বিষয়ে সরফরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন- অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত ক্রিকেট প্রদর্শন করেছে এবং এই সাফল্যের পেছনে ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের ক্লান্তিহীন পরিশ্রম ছিল।
এদিকে ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ফাইনাল লড়াই ছিল একেবারেই একপেশে। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল তোলে ৩৪৮ রান। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল ২৬.২ ওভারেই ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। ফলে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯১ রানের ব্যবধানে জয় পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত হওয়ায় শিরোপা জয়ের আনন্দ ছিল দ্বিগুণ।
ফাইনালে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক ছিলেন সামির মিনহাস, যিনি খেলেন ১৭২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। পাশাপাশি মিডল অর্ডারে ৭২ বলে ৫৬ রান করেন আহমেদ হুসাইন।
জাতীয় দলের পর্যায়ে ২০২২ সালের পর ভারতের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি পাকিস্তান। অধিকাংশ ম্যাচই হয়েছে একতরফা। ফলে যুব পর্যায়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে শিরোপা জয়ে কিছুটা হলেও আক্ষেপ ঘোচাতে পেরেছে পাকিস্তান।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২ডিসেম্বর২৫/এসএ


