আইএল টি–টোয়েন্টিতে শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না সাকিব আল হাসানের জন্য। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে প্রভাব ফেলতে না পারায় সমালোচনাও ছিল। তবে তৃতীয় ম্যাচেই বদলে গেলেন বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার। বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে এমআই এমিরেটসকে এনে দিলেন গুরুত্বপূর্ণ জয়।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে সাকিব ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৪ রান। তুলে নেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। নিখুঁত লাইন-লেন্থের ব্যবহার করে দুর্দান্ত বোলিং করেন তিনি। ২৪ বলের মধ্যে ১২টিই ছিল ডট। এমআই এর হয়ে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলিংও তার। যার ফলে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১২৬ রানে আটকে দিতে সক্ষম হয়।
এদিন ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে শেষ বলেই প্রথম সাফল্য পান সাকিব। স্টাম্পড হন পাকিস্তানি ব্যাটার ফখর জামান। পরের ওভারেই ফেরান ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার স্যাম কারানকে। নিজের বলে ক্যাচ নেন সাকিব নিজেই। এরপর নিজের বাকি দুই ওভারেও উইকেট না নিতে পারলেও ছিলেন যথেষ্ট সাশ্রয়ী। ১১তম ও ১৫তম ওভারে দেন মোটে ৬ রান।
সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের চাপে ভাইপার্স ৭ উইকেটে থামে ১২৪ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে এমআই এমিরেটস। ৬ উইকেট হারালেও শেষ দিকে দায়িত্ব নেন সাকিব। ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৭ রান করে ১৫ বল হাতে রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।
আইএল টি–টোয়েন্টিতে নিজের তৃতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাড়ালেন সাকিব। আবারও প্রমাণ করলেন বড় মঞ্চে কীভাবে নিজের ছাপ রাখতে হয়। ব্যাটে-বলে এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এর জন্য ম্যাচ শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ এর পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এমআই এমিরেটস উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নাম্বারে।
উল্লেখ্য, আজ বাংলাদেশি ক্রীড়া প্রেমীদের জয়জয়কার। কেননা দিনের আরেক ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানও।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২ডিসেম্বর২৫/টিএ
