ভারতকে কাঁদিয়ে যুব এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন এখন পাকিস্তান

শিরোপা জয়ের পর পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের উল্লাস। ছবি: পিসিবি

সেমিফাইনালে হেরে টানা তৃতীয় শিরোপার সুযোগ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের সামনে সুযোগ ছিল অষ্টম শিরোপা জয়ের। আর পাকিস্তানের জন্য ছিল শূন্যতা ঘোচানোর। অবশেষে যুব এশিয়া কাপে অপূর্ণতা ঘুচিয়েছে বাবর-রিজওয়ানদের উত্তরসূরীরা। ভারতকে ১৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।

১৯৮৯ শুরু হওয়া যুব এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর বসেছিল ২০০৩ সালে। আর ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত বসছে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের আসর। ১২তম আসরে এসে প্রথম শিরোপার স্বাদ পেল এশিয়ার ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি পাকিস্তান। এর আগে এ বছরেই ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে হারিয়ে তৃতীয় শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান শাহীনস।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে আগে ব্যাটিং করে সামির মিনহাসের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভার শেষে ৩৪৭ রান তোলে পাকিস্তান। প্রায় সাড়ে তিনশ রানের লক্ষ্য পেরোতে গিয়ে হিমশিম খেতে থাকে সূর্যবংশীরা। শেষ উইকেটের জুটির দৃঢ়তায় ২৬.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয় শচীন-কোহলিদের উত্তরসূরীরা। নাহলে হারের ব্যবধান দুশোর বেশি হতো।

---

---

টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের যুব দলের অধিনায়ক আয়ুশ মাহাত্রে। ক্রিজে নেমেই ঝড় তুলতে থাকেন দুই পাক ওপেনার হামজা জহুর ও সামির মিনহাস। কিন্তু ১৪ বলে ১৮ রান রানে হামজা ফিরে যাওয়ার পর জ্বলে ওঠেন মিনহাস।

১১৩ বলে ১৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে রানের পাহাড় গড়তে সাহায্য করেন মিনহাস। দ্বিতীয় উইকেটে মিনহাসের সাথে ৯২ রানের জুটি গড়তে গিয়ে ৩৫ রান করেন উসমান খান। চতুর্থ উইকেটে আহমেদ হোসাইনকে নিয়ে ১৩৭ রানের জুটি গড়েন। ৫৬ রানে ফিরে যান আহমেদ। পরে অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ ১৯ রান করেন।

জবাবে খেলতে নেমে ছক্কা দিয়ে শুরু হয় ভারতের ইনিংস। বৈভব সূর্যবংশী ১০ বলে ২৬ রানের ঝড়ো সূচনা এনে দেন। কিন্তু আলী রাজার বোলিংয়ে সব থেমে যায়। একে একে সবাই সাজঘরের পথ ধরেন। শেষ উইকেটে দীপেশ ও কিষাণ। ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন দীপেশ।

বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে আলী রাজা ৬.২ ওভারে ৪২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া মোহাম্মদ সায়েম, আব্দুল সায়েম ও হুজাইফা আহসান দুটি করে উইকেট নেন।

এর আগে ২০১২ সালের আসরের ফাইনাল ম্যাচ টাই হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এছাড়া বাকি ১১ আসরের মধ্যে সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। একবার আফগানিস্তান ও পরপর দুইবার শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ শিরোপার স্বাদ পেল আগামীর ম্যান ইন গ্রিনরা।

ক্রিফোস্পোর্টস/২১ডিসেম্বর২৫/এনজি