শেষ পর্যন্ত দুই গোলে জয় পেল রিয়াল। প্রথম গোলটি জুড বেলিংহ্যামের নিখুঁত হেড, দ্বিতীয়টি কিলিয়ান এমবাপ্পের পেনাল্টি। এই দুই গোলেই সেভিয়াকে ২–০ ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগায় গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট তুলে নিল রিয়াল মাদ্রিদ। একই সঙ্গে ম্যাচটি হয়ে থাকল এমবাপ্পের জন্য বিশেষ এক রাত। রিয়ালের জার্সিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে তিনি ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
শনিবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল স্বাগতিকরা। বলের দখলে এগিয়ে থেকে একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও প্রথমার্ধে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৩৮ মিনিট পর্যন্ত। ডান প্রান্ত থেকে রদ্রিগোর বাড়ানো ক্রসে বক্সে লাফিয়ে উঠে নিখুঁত হেডে গোল করেন বেলিংহ্যাম।
এর আগে দুই দলই সুযোগ নষ্ট করেছে বেশ কয়েকটি। পঞ্চম মিনিটে ফ্রান গার্সিয়ার শট ঠেকান সেভিয়ার গোলরক্ষক। বিপরীতে সপ্তম মিনিটে ইসাক রোমেরোর সামনে ছিল দারুণ সুযোগ, কিন্তু একেবারে কাছ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি আরও বেড়ে যায়। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। সেভিয়ার আলেক্সিস সানচেস ও রোমেরোর শট একাধিকবার আটকে দেন থিবো কোর্তোয়া। অন্যদিকে এমবাপ্পের দুটি শট ও একটি হেড ফিরিয়ে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক, একবার বল গিয়ে লাগে পোস্টেও।
৬৮তম মিনিটে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। বেলিংহ্যামকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সেভিয়ার ডিফেন্ডার মার্কাও। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া সেভিয়া এরপর আর চাপ সামলাতে পারেনি।
নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে ব্যবধান নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে। বক্সের ভেতর রদ্রিগো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। স্পট কিক থেকে গোল করে নিজের জন্মদিনের ম্যাচকে স্মরণীয় করে তোলেন ফরাসি তারকা। গোলের পর রোনালদোর বিখ্যাত ‘সিউ’ উদযাপনও করেন তিনি।
এই গোলের মাধ্যমে এক ক্যালেন্ডার বছরে রেয়ালের হয়ে এমবাপ্পের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৫৯-এ, যা ২০১৩ সালে গড়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর রেকর্ডের সমান। চলতি লা লিগায়ও তিনি শীর্ষে ১৮ ম্যাচে ১৮ গোল।
এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রইল রিয়াল মাদ্রিদ। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। আর ১৭ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানেই আটকে রইল সেভিয়া।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১ডিসেম্বর২৫/টিএ
