তুরস্কে জুয়া কেলেঙ্কারির মামলায় ফুটবলারসহ ২০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে স্থানীয় আদালত। এই রায়ে দেশটির পেশাদার ফুটবল অঙ্গনে ছড়িয়ে থাকা দীর্ঘদিনের দুর্নীতির অভিযোগ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। খেলোয়াড় ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ক্লাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মামলার নথিতে জানা যায় যে, সুপার লিগসহ বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান ও সাবেক খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাজি ধরার তথ্য পাওয়া যায়। শুধু খেলোয়াড় নয়, ক্লাব সভাপতি, রেফারি, এমনকি ধারাভাষ্যকারের নামও এসেছে তদন্তে। প্রসিকিউটররা গত সপ্তাহে মোট ৪৬ জনকে আটক করার নির্দেশ দেন। এরপর সোমবার শীর্ষ পর্যায়ের একটি ক্লাবের চেয়ারম্যানসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জুয়া সংক্রান্ত তদন্তের ধাক্কা ইতিমধ্যেই তুর্কি ফুটবল ব্যবস্থার উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। গত মাসে ম্যাচ–ফিক্সিং সন্দেহে ১৪৯ জন রেফারি ও সহকারী রেফারিকে একযোগে বরখাস্ত করে তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন। পাশাপাশি শীর্ষ দুই লিগের ১০২ জন ফুটবলারকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সব মিলিয়ে এক হাজার ২৪ জন খেলোয়াড়কে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখা হয়েছে। তুর্কি ফুটবলে দীর্ঘদিনের অস্বচ্ছতা ও আর্থিক অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, এত বড় পরিসরে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এই প্রথম। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, পুরো নেটওয়ার্কটি ভেঙে না ফেলা পর্যন্ত তদন্ত থেমে থাকবে না।
সম্প্রতি খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী যেভাবে জুয়ার সংশ্লিষ্টটা বেড়েছে তা তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিলে ঠেলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ক্রমে ক্রমে এর সাথে যুক্ত হচ্ছেন খেলোয়াড় থেকে শুরু করে ক্লাব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তারাও।
কিন্তু এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তুরস্কের জিরো টলারেন্স নীতি বিশ্বকে অবাক করেছে। শুধু তাই নয় ফুটবলকে জুয়ামুক্ত তথা দুর্নীতি মুক্ত করার জন্য তুরস্কের এমন উদ্যোগ কঠিন হলেও প্রশংসনীয়। তুরস্কের ফুটবলকে দুর্নীতি মুক্ত রাখার এমন নীতি অনেক দেশই অনুসরণ করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/টিএ