কটকের রাতটা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুঃস্বপ্নই হয়ে রইল। পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারত তাদের ১০১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দাপটের সহিত সিরিজ শুরু করলো। এদিন ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি প্রোটিয়ারা গড়েছে লজ্জাজনক এক রেকর্ড। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এটিই তাদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৭৫ রান তুলে ভারত। ১৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই যথেষ্ট চাপের মধ্যে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচের কোনো মূহুর্তেই মনে হয়নি তারা জিততে পারে। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়েছে ভারতীয় বোলাররা। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই অর্শদীপ সিং কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে দেন শূন্য রানে। নিজের পরের ওভারেও উইকেট এনে দেন তিনি। স্টাবস ক্যাচ দেন উইকেটকিপারের হাতে। ১৬ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মার্করাম–ব্রেভিস জুটি কিছুটা সামাল দিলেও তা বড় রান করতে পারেনি। অক্ষর প্যাটেল আঘাত হানতেই আবারও ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার।
শেষ পর্যন্ত ১২.৩ ওভারেই ৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে তাদের সর্বনিম্ন স্কোরও ছিল ভারতের বিপক্ষেই ২০২২ সালে রাজকোটে ৮৭। এবার সেই লজ্জার নিচেও নামতে হলো তাদের।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন ডেভাল্ড ব্রেভিস। তাঁর ক্যাচ ধরেই আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন যশপ্রীত বুমরা। অর্শদীপের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই মাইলফলক ছোঁয়া বুমরা পরে নেন আরও একটি উইকেট।
ভারতের চার বোলার অর্শদীপ, অক্ষর, বরুণ চক্রবর্তী ও বুমরা নেন ২টি করে উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ও শিবম দুবে পান ১টি করে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। তারপর পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন অভিষেক শর্মা ও তিলক ভার্মা। কিন্তু আগ্রাসী ব্যাট করা অভিষেক এদিন ইনিংস বড় করতে পারেনি। আউট হবার আগে করেন ১২ বলে ১৭ রান। অন্যদিকে তিলকের ধীর গতির ব্যাটিংয়ের জন্য ভারতের দলীয় রান কিছুটা থেমে যায়। আউট হবার আগে তিনি করেন ৩২ বলে ২৬ রান। এরপর নেমে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালান হার্দিক পান্ডিয়া ও শিভাম দুবে। দুবে আউট হলেও ২৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন পান্ডিয়া। শেষ দিকে হার্দিক ও জিতেশের পার্টনারশিপে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫ রানে।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন বোলিং-এ উজ্জ্বল ছিলেন লুঙ্গি এনগিদি। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।এছাড়াও লুথো সিপামলাও শিকার করেন ২ উইকেট।
এখন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ বৃহস্পতিবার নিউ চণ্ডীগড়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়েই ঘুরে দাড়াতে চাইবে প্রোটিয়ারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/১০ডিসেম্বর২৫/টিএ