টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে চলতি বছর বাংলাদেশের মূল ফোকাস ছিল টি-টোয়েন্টিতে। এ বছর দেশে ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। যেখানে একাধিক সাফল্য পেয়েছে লিটন দাসের দল। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ এক বছর কেটেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
চলতি বছরের মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত সিরিজ থেকে শুরু করে সবশেষ আয়ারল্যান্ড সিরিজসহ মোট ৮টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫টিতেই জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল। যা অতীতের জয়ের রেকর্ড থেকে অনেক বেশি। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এই ধারাবাহিকতার কারণ জানিয়েছেন জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
আজ (শনিবার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেভাবে এগোতে চেয়েছি, হয়তো মোটামুটি কাছাকাছি পৌঁছেছি। কিন্তু আমি বলবো না যে, আমরা অনেক সাফল্য পেয়ে গেছি। তবে অন্যান্য ফরম্যাটের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতেই বেশি সাফল্য এসেছে। কারণ আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজটা রেগুলার খেলেছি। একটার পর একটা সিরিজ এবং আমরা একটা প্ল্যান অনুযায়ী এগিয়েছি। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই আমরা এগিয়েছি।’
তবে এখনো টি-টোয়েন্টি দলে অনেক উন্নতির জায়গা দেখছেন সালাউদ্দিন। ‘আমাদের এখনো অনেক উন্নতির জায়গা আছে। আগের সিরিজগুলাতে পক্ষে-বিপক্ষে কিছু রেজাল্ট আসছে। ব্যাটাররাও তাদের রোল অনুযায়ী কখনো পারফর্ম করেছে আবার কখনো করেনি। কিন্তু তারা জানে তাদের কী করতে হবে। যেখানে সমস্যা রয়েছে, আগামী দুইটা মাসে যদি তারা সেই জায়গায় কাজ করে তাহলে আমার মনে হয় যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু হবে।’
অবশ্য চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বেশ হতাশাজনক। মে মাসে বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে লিটন দাসের দল। এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়ে ৩-০ তে হোয়াইট হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লিটনরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে তাদের ঘরের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারায় সফরকারীরা। এরপর ফের পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় লিটনরা। ঘরের মাঠে সফরকারীদের ২-১ ব্যবধানে হারায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
চলতি বছর মাঠে গড়ায় এশিয়া কাপ। তবে এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। এরপর এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলতে না পারলেও দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয় পেয়েছিল লিটন দাসের দল।
এরপর আফগানিস্তানকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোঁচট খায় টাইগাররা। ক্যারিবিয়ানদের কাছে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ হয় লাল-সবুজের দল। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরেও পরে দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের দেখা পায় স্বাগতিকরা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬ডিসেম্বর২৫/বিটি