টি–টোয়েন্টিতে বছরজুড়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন তানজিদ হাসান। এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা আর সঙ্গে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচের বিশ্ব রেকর্ড। ব্যক্তিগত অর্জন যতই হোক, এই ওপেনারের ভাবনায় সবার আগে আসে দলের প্রয়োজন। গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তানজিদ নিজেই সেটা পরিষ্কার করে বলেছেন।
তানজিদের মতে, প্রতিটি ম্যাচে তাঁর লক্ষ্য থাকে একটাই বাংলাদেশ দলের জন্য কীভাবে কার্যকর ইনিংস খেলা যায়। “রেকর্ড নিয়ে ভাবি না। যেটা করেছি, সেটা অতীত। সামনে কীভাবে আর ভালো করা যায় এই ভাবনাটাই জরুরি,” বলে মনে করেন তিনি।
ব্যাটিংয়ে তাঁর সবচেয়ে বড় জোর ‘জোনে’ পাওয়া বলকে কাজে লাগানো। ছক্কা মারাকে আলাদা করে লক্ষ্য বানান না, তবে সুযোগ পেলেই শটটা নিখুঁতভাবে শেষ করার চেষ্টা থাকে। তিনি বলেন,“ব্যাটিংয়ের প্যাটার্নটা ঠিক রাখতে চাই। ছক্কা মারাই উদ্দেশ্য এমন না, কিন্তু বল নিজের জোনে এলে অন্তত বাউন্ডারি যেন মিস না হয় সেই চেষ্টা করি,” বললেন তানজিদ।
পরিস্থিতি অনুযায়ী ওয়ানডে বা টি–টোয়েন্টিতে নিজের পদ্ধতিও বদলে ফেলেন তিনি। রান তাড়া করার ম্যাচে চিন্তা-ভাবনা একরকম, অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করলে আরেক রকম মাইন্ডসেট নিয়ে নামতে হয়। “উইকেট, পরিস্থিতি, কত রান যথেষ্ট সবকিছু মাথায় রাখতে হয়”।
পাওয়ার প্লেতে ঝুঁকি নেওয়া যে বাধ্যতামূলক, সেটাও স্পষ্ট জানেন তানজিদ। “দুই ফিল্ডার বাইরে থাকে, তাই শুরুতে যত রান তোলা যায়, সেটাই লাভ। পরে ফিল্ডার ছড়িয়ে গেলে শট সিলেকশন বদলাতে হয়,” বললেন তিনি।
বছরের একাধিক রেকর্ডে নিজের নাম তোলার পরও তানজিদ মনে করিয়ে দিলেন যে তিনি সামনে এগোতে চান, অতীতে নয়। দলের জন্য ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখাটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় সাফল্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টিতে গত কয়েক বছর ধরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছে। সেই পরিবর্তনের ছাপ দেখা গেল চলতি বছরেই। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক বর্ষপঞ্জিকায় দুইশোর বেশি ছক্কা যা এতদিন কেবল বড় দলের কাছেই দেখা যেত এবার সেই ক্লাবে ঢুকে গেল বাংলাদেশ। ২০২৫ হলে ২০৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছে বাংলাদেশ।
ক্রিফোস্পোর্টস/৬ডিসেম্বর২৫/টিএ