অ্যাশেজে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের এই ঐতিহাসিক সিরিজে আম্পায়ারিং করলেন তিনি। সৈকতের এমন কীর্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। সৈকতের এই ব্যক্তিগত সাফল্য দেশের ক্রিকেটের জন্যও গৌরবের বলে মনে করেন এই ব্যাটার।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রিসবেনের গাব্বায় দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। গাব্বায় দিবারাত্রির গোলালি বলের টেস্টে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সৈকত। তার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারের ভূমিকায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক।
অ্যাশেজে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে সৈকতের অভিষেকের পর অভিনন্দন জানান ইমরুল। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘সৈকত ভাই,অ্যাশেজ টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন। এটি শুধু আপনার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়—বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও এক গৌরবময় ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
সৈকতকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে ইমরুল লিখেছেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বৃহৎ মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন—আপনার জন্য রইল অসীম শুভকামনা। আপনার এই অর্জন ভবিষ্যতে আরও অনেককে অনুপ্রাণিত করবে, এটাই কামনা করি।’
অবশ্য চলতি অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেও আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন সৈকত। পার্থে প্রথম টেস্টে টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেখানে তার একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে বেশ আলোচনাও হয়েছিল। ইংলিশ ব্যাটার জেমি স্মিথের এক আউটের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়েছিল ইংলিশরা।
পার্থের পর গাব্বা টেস্ট দিয়েই অ্যাশেজে দায়িত্ব শেষ হচ্ছে সৈকতের। বাকি ম্যাচগুলোতে আম্পায়ারের ভূমিকায় দেখা যাবে না তাকে। বাকি তিন টেস্টে নীতিন মেনন, আহসান রাজা, ক্রিস গ্যাফানি ও কুমার ধর্মসেনারা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪ডিসেম্বর২৫/বিটি