আসন্ন বিপিএলকে ঘিরে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে দোটানায় পড়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। নিলামে নাম আসা সাইম আয়ুব, আবরার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিমদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকলেও পুরো মৌসুমে তাদের পাওয়া যাবে এমন নিশ্চয়তা কেউ পাচ্ছে না। কারণ জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে পাক ক্রিকেটারদের বিপিএল খেলার সময়ের সাথে অনেকটাই সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ ঠিক হয়ে আছে। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার পর তারা যাবে অস্ট্রেলিয়া সফর। দুটোই বিপিএলের সময়ের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা স্পষ্ট করে বলেছেন জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই বেশির ভাগ পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে পাওয়া কঠিন হবে।
৭, ৯ ও ১১ জানুয়ারি ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এরপর জানুয়ারির শেষ দিকে যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। এর মাঝে শ্রীলঙ্কায় ক্যাম্পও রয়েছে তাদের। ফেব্রুয়ারিতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে ঘিরে আরও ব্যস্ত সময় কাটাবে পাক দল। সব মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার আগে জাতীয় দলের দায়িত্বই সেখানে অগ্রাধিকার পাবে, এটিই জানাচ্ছে পিসিবি।
বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এনওসি না দেওয়ার বিষয় নয়, যারা আবেদন করেছে তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তবে জাতীয় দলের প্রয়োজন থাকলে সেটা আগে থাকবে এই নীতি তারা বদলাচ্ছে না। ক্রিকেট দুনিয়ায় এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আগে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করতে তারপর অন্যান্য ক্রিকেট।
বিপিএলে এবার চুক্তিবদ্ধ পাকিস্তানি ক্রিকেটারের তালিকা বেশ লম্বা সাইম আয়ুব, নওয়াজ, আবরার, উসমান খান, খুশদিল শাহ, ইমাদ ওয়াসিমসহ উল্লেখযোগ্য কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এখন বিকল্প পরিকল্পনায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। সিরিজের ফাঁকে বা বিশ্বকাপ পরিকল্পনার বাইরে থাকা খেলোয়াড়রা কিছু ম্যাচ খেলতে পারেন বলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমনটাই ধরে নিচ্ছে।
আসরের আগে শেষ সময়ের এই অনিশ্চয়তা দলগুলোকে ঝামেলায় ফেললেও, তারা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। জানা গেছে, বিকল্প খেলোয়াড় নিয়েও ভাবছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তারা।
ক্রিফোস্পোর্টস/৪ডিসেম্বর২৫/টিএ