টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে গতকাল ছিল বাংলাদেশের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ফের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে লিটন বাহিনী। আর সেই জয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস সরাসরিই বললেন বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ প্রায় প্রস্তুত।
২০২৫ সালের বছর জুড়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছে ৩০ ম্যাচ। পাঁচটি সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতাও অর্জন হয়েছে। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুই ম্যাচে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে লিটন মনে করছেন দল চাপের ভিতর ম্যাচ জেতার পথ শিখছে। যেটা বিশ্বকাপেও যথেষ্ট কাজে দিবে।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রথম ম্যাচটা আমাদের হাতে ছিল না। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে আমরা যে মানসিকতা দেখিয়েছি, সেটা দারুণ। এই সিরিজে ফিল্ডারদের ক্যাচিং বিশেষভাবে চোখে পড়েছে। আমরা তো সাধারণত খুব শক্তিশালী ফিল্ডিং দল নই, কিন্তু এবার উন্নতি করেছে সবাই।”
বিশ্বকাপ চিন্তা করে এই সিরিজে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। ওপেনারদের টপ অর্ডারে ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে নামানো, বোলিংয়ে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সবই ছিল কম্বিনেশন খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা। যেমন শেষ ওভারে অভিজ্ঞ মোস্তাফিজের পরিবর্তে বল দেওয়া হয়েছিল প্রথম ম্যাচে বেঞ্চে থাকা সাইফউদ্দিনকে।
লিটনের ব্যাখ্যা, “কাকে কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা যায় সেটা বুঝতে চাইছিলাম। সাইফউদ্দিন চাপ সামলাতে পারে কি না, সেটা দেখা দরকার ছিল। সারা বছরে আমরা প্রায় সব দিকেই নানা পরীক্ষা করেছি। এখন মনে হচ্ছে স্কোয়াডটা মোটামুটি প্রস্তুত।”
তবে মিডল অর্ডার এখনো প্রশ্নের জায়গা। জাকের আলি, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারি তিনজনই সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু ধারাবাহিক রান করতে পারেনি কেউই। তারপরও লিটন বিষয়টিকে খুব বড় সমস্যা মনে করছেন না।
তার মতে, “সবাই সব সিরিজে রান করবে এটা ভাবা ঠিক না। (তৌহিদ) হৃদয় ভালো করেছে। আমি চাই তারা বিপিএলে রান করুক, তারপর সেই ধারাবাহিকতা নিয়ে বিশ্বকাপে যাক।”
দলে তিন স্পিনার থাকায় একাদশ সাজানোও লিটনের জন্য চ্যালেঞ্জ। প্রতিবারই তাকে অন্তত একজন ম্যাচউইনারকে বেঞ্চে রাখতে হচ্ছে। তবুও অধিনায়ক মনে করছেন প্রস্তুতির দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
ক্রিফোস্পোর্টস/৩ডিসেম্বর২৫/টিএ