বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আয়ারল্যান্ডের দারা শিয়াকে কনুই দিয়ে আঘাত করে লাল কার্ড দেখেছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। লাল কার্ডের কারণে খেলতে পারেননি বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে, শঙ্কা ছিল ২০২৬ বিশ্বকাপের শুরুতে খেলা নিয়েও।
তবে শেষ পর্যন্ত রোনালদোর তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই এখন আইনি লড়াইয়ে পড়ার শঙ্কায় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, পর্তুগালের বিপক্ষে যেসব দল বিশ্বকাপে মুখোমুখি হবে, তাদের যে কেউ চাইলে সুইজারল্যান্ডের ক্রীড়া সালিশি আদালতে (সিএএস) এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারে। তবে কোনো দল এমন পদক্ষেপ নেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
প্রতিপক্ষ দেশগুলোর পাশাপাশি যেসব দেশের খেলোয়াড়েরা নিষেধাজ্ঞা কমানোর সুযোগ পাননি, তারাও ফিফার সিদ্ধান্তটির উপর নজরে রাখছেন। তবে ফিফার শাস্তি প্রক্রিয়া অনেকটাই বিবেচনাধীন, তাই এমন অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, অভিযোগকারী পক্ষকে প্রমাণ করতে হবে যে ফিফার সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, আঘাতের মতো আচরণে জড়ালে খেলোয়াড়কে কমপক্ষে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়। তবে একই কোডের ২৭ নম্বর ধারা শাস্তি আংশিক বা পুরোপুরি স্থগিত করার সুযোগ রাখে। ফিফা জানিয়েছে, রোনালদোর বাকি দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক বছরের শর্তে স্থগিত রয়েছে। এই সময় তিনি একই ধরনের অপরাধ করলে স্থগিত শাস্তি তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।
আগামী ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ড্র। স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলসের মধ্যে যেকোনো দল প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারলে পর্তুগালের গ্রুপসঙ্গী হবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৮নভেম্বর২৫/এআই