বিশ্ব ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্টে গোল করা যেমন কঠিন, তেমনই চোখ ধাঁধানো হ্যাটট্রিক করা আরও বিরল ঘটনা। খুব কম খেলোয়াড়ই একই ম্যাচে পরপর তিনটি গোল করে ইতিহাসে নাম লেখাতে পেরেছেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্রুত হ্যাট্রিক করা পাঁচ ফুটবলার:
৫. রবার্ট লেভানদোভস্কি : (১০ মিনিট ২২ সেকেন্ড)
২০২২ সালে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে সালজবুর্গের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন লেভানদোস্কি। ম্যাচ শুরুর পর মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যেই তার তিন গোল। ম্যাচে বায়ার্ন জেতে ৭-১ ব্যবধানে। এর আগে ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের মার্কো সিমোনে ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক করে যে রেকর্ড গড়েছিলেন, সেটাই ভেঙে দেন লেভানদোস্কি।
৪. মাইক নিউয়েল : (৯ মিনিট ১৭ সেকেন্ড)
ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের হয়ে রোজেনবর্গের বিপক্ষে ৯ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে দ্রুততম হ্যাটট্রিকটি করেন নিউয়েল। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা ভালো কিছু করতে না পারলেও নিউয়েলের নয় মিনিটের হ্যাট্রিক ছিল চোখ ধাঁধানো। ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও গ্রুপপর্বে ব্ল্যাকবার্ন শেষ হয়েছিল তলানিতে।
৩. বাফেতিম্বি গোমিস : (৮ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড)
২০১১ সালে ডিনামো জাগরেবের বিপক্ষে ৭-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে চার গোল করে আলোচনায় আসেন লিওঁ-তারকা গোমিস। শেষ ষোলোতে উঠতে লিওঁকে বড় জয় এবং অ্যাজাক্সের হার প্রয়োজন ছিল। রিয়াল মাদ্রিদ অ্যাজাক্সকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর বাকিটা কাজ সেরে দেন গোমিস নিজেই।
২. কিলিয়ান এমবাপ্পে : (৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ড)
২০২৫ সালের নভেম্বরে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে মাত্র ৭ মিনিটেরও কম সময়ে তিন গোল করেন এমবাপ্পে। পিছিয়ে পড়েও তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মাদ্রিদ জিতে যায় ৪-৩ ব্যবধানে। ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে বলেন, ‘আমি ভালো অনুভব করছি। গোল করা সবসময়ই আনন্দের।’
১. মোহাম্মদ সালাহ : (৬ মিনিট ১২ সেকেন্ড)
২০২২ সালের অক্টোবরে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নেমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ। ৬৮তম মিনিটে মাঠে নেমে ৭৬, ৮০ ও ৮১ মিনিটে তিন গোল করেন তিনি। ৭-১ গোলের ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে তার তিনটি গোলেই সহায়তা দেন আরেক বদলি খেলোয়াড় দিয়োগো জোটা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র ৬ জন বদলি খেলোয়াড় হ্যাটট্রিক করেছেন, সালাহ তাদের একজন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/এআই