এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যেখানে দেখার মত বিষয় এই তিন ম্যাচে বাংলাদেশ গোল করেছে মোট ১৮টি, বিপরীতে হজম করেনি একটিও। তবুও এশিয়ান কাপের মূলপর্ব নিশ্চিতের দৌড়ে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ!
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশ খেলছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে শ্রীলঙ্কা, ব্রুনেই ও পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে বড় জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করা যায় এই দলগুলোকে। তবে গ্রুপে এখনো কঠিন দুই লড়াই বাকি বাংলাদেশের, যেখানে প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বাহরাইন ও চীন।
১৮ গোলে প্রথম তিন ম্যাচ জিতেও বাছাইপর্বে গ্রুপের শীর্ষে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। কেননা সবার উপরে থাকা চীন নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে এখন পর্যন্ত করেছে মোট ৩০ গোল। আর তাই বড় গোল ব্যবধানে পিছিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর তাই খুব বেশী স্বস্তিদায়ক স্থানে বাংলাদেশ আছে সেটা বলা যায় না।
কেননা বাছাইপর্বের প্রতিটি গ্রুপ থেকে কেবল একটিমাত্র দল অংশ নিতে পারবে এশিয়ান কাপের মূল টুর্নামেন্টে। আর সেখানে গ্রুপের সবথেকে কঠিন দুই ম্যাচ এখনো বাকি বাংলাদেশের সামনে। এশিয়ান কাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করতে হলে বাহারাইন এবং চীনকে হারানোর কোন বিকল্প নেই। আর তাই এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও মূল টুর্নামেন্টের জন্য পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ।
আগামীকাল ২৮ নভেম্বর বাছাইপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে কঠিন প্রতিপক্ষ বাহারাইনের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর এশিয়ান কাপের টিকিট নিশ্চিতের চূড়ান্ত ম্যাচে ৩০ নভেম্বর শক্তিশালী চীনের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেই ম্যাচে ড্র করলেও বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্নভঙ্গ হবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে।
তবে যদি শেষ পর্যন্ত এই কঠিন চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারে বাংলাদেশ তবে ২০ বছর পর যুব এশিয়ান কাপে খেলার সুবর্ণ সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বশেষ ২০০৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর প্রায় দুই দশক পেরিয়ে গেলেও যুব এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলা হয়নি বাংলাদেশের।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/এফএএস