ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজকে হয়ত ভুলে গেছেন অনেকেই! একটা সময় ব্রাজিলের রক্ষণে আস্থার আরেক নাম ছিলেন লুইজ। শুধু ব্রাজিল নয়, পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকা, ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি কিংবা ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির হয়েও দীর্ঘদিন রক্ষণ সামলেছন এই তারকা। তবে অনেকদিন ধরে আলোচনার বাইরে থাকলেও নতুন করে আবার আলোচনায় উঠে এসেছেন চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও প্রিমিয়ার লিগজয়ী এই ফুটবলার।
গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ দিয়ে ফের আলোচনায় উঠে এসেছে লুইজের নাম। চ্যাম্পিয়নস লিগে সাইপ্রাসের ক্লাব পাফোসের হয়ে মোনাকোর বিপক্ষে গোল করে এক কীর্তি গড়েছেন এই তারকা। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার তালিকায় দুইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ব্রাজিলের ৩৮ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।
ঘরের মাঠে মোনাকোর বিপক্ষে ম্যাচের পাঁচ মিনিটেই গোল হজম করে পাফোস। এরপর ম্যাচের ১৮তম মিনিটে কর্নার কিকে দুর্দান্ত এক হেডারে দলকে সমতায় ফেরান এই তারকা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
এই গোলের দিন লুইজের বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর ২১৮ দিন। তাতে ফ্রান্সেসকো টট্টি, রায়ান গিগস৷ সার্জিও রামোসের মতো বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলারকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। প্রত্যেককে পেছনে ফেলে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন এই ডিফেন্ডার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করা ফুটলারদের তালিকায় শীর্ষেও আছেন একজন ডিফেন্ডার। তিনি হলেন রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের সাবেক তারকা পেপে। দুইয়ে থাকা লুইজের চেয়ে দুই বছর বেসি বয়সে গোল করেন তিনি। ২০২৩ সালে পোর্তোর হয়ে শাখতার দোনেস্কের বিপক্ষে গোল করেন পেপে। তখন তার বয়স ছিল ৪০ বছর ২৯০ দিন। আর তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন এই পর্তুগিজ কিংবদন্তি।
তালিকার দুই থেকে তিনে নেমে গেছেন রোমা ও ইতালির কিংবদন্তি ফুটবলার ফ্রান্সেসকো টট্টি। ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাশিয়ান ক্লাস সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে ৩৮ বছর ৫৯ দিন বয়সে গোল করেন টট্টি। চার ও পাঁচে যথাক্রমে আছেন রায়ান গিগস ও সার্জিও রামোস। ২০১১ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে বেনফিকার বিপক্ষে ৩৭ বছর ২৮৯ দিন বয়সে গোল করেন গিগস। আর রামোস ২০২৩ সালে সেভিয়ার হয়ে লাসের বিপক্ষে ৩৭ বছর ২৫৭ দিন বয়সে গোল করেন।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/বিটি