রিয়াল মাদ্রিদ বনাম অলিম্পিয়াকোসের ম্যাচ না বলে ম্যাচটিকে এমবাপ্পে বনাম অলিম্পিয়াকোস বললে খুব একটা ভুল হবে না। স্কোরবোর্ডও এটাই প্রমাণ করে যে পুরো ম্যাচ জুড়ে অলিম্পিয়াকোসকে খেলতে হয়েছে এমবাপ্পের বিপক্ষে। যেখানে তিনি একাই হয়ে ওঠেছিলেন গোল মেশিন। একে একে চার গোল করে পূর্ণ করলেন হালি, নিশ্চিত করলেন দলের জয়।
অ্যাওয়ে মাঠে শুরুতেই গোল খেয়ে পিছিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতে দিল না রিয়াল মাদ্রিদ। সাম্প্রতিক ছন্দহীনতাকে ঠিক করে আজ একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার চার গোলের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জয় পেল ৪–৩ গোলে।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণাত্মক খেলার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল রিয়াল। তৃতীয় মিনিটে ভিনিসিউসের জোরালো শট কর্ণারে ঠেলে দেন গোলরক্ষক। কিন্তু তার পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দখলে নেয় অলিম্পিয়াকোসের প্লেয়াররা। অষ্টম মিনিটে নিজেদের প্রথম আক্রমণেই একদম গোলপোস্ট ঘেঁষে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চিকিনিয়ো।
সেই ব্যবধান কাটাতে কিছুটা সময় নেয় রিয়াল। ১৯তম মিনিটে আবারও আরেকটি গোল হতে পারতো। তবে লুনিনের সেভে এ যাত্রায় বেঁচে যায় দল। তবে ২২তম মিনিটে সমতায় ফেরান এমবাপ্পে। ভিনিসিউসের পাস থেকে নিচু শটে গোল করেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। এখান থেকেই শুরু হয় তার এক হালির যাত্রা।
এরপরই গোল মেশিন বনে যান এমবাপ্পে। মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে করেন আরও দুই গোল। প্রথমটি আর্দা গিলেরের ক্রসে নিখুঁত হেড দিয়ে, দ্বিতীয়টি কামাভিঙ্গার পাস ধরে কোনাকুনি শটে। মাত্র ছয় মিনিট ৪২ সেকেন্ডেই হ্যাটট্রিক গোল করে বসেন এমবাপ্পে যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দ্বিতীয় দ্রুততম।
তবে হ্যাটট্রিকের পরেও থেমে থাকেননি তিনি। বিরতির আগে চুয়ামেনির শটও গোল পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল, পরবর্তীতে লুনিনের সেভ সব মিলিয়ে প্রথমার্ধে ব্যবধান ধরে রাখে রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও সুযোগ হারায় রিয়াল। এরপরই ম্যাচে ফেরে অলিম্পিয়াকোস। ৫২তম মিনিটে তারেমির হেডে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা।
কিন্তু আবারও সেই এমবাপ্পে জাদু। ৫৯তম মিনিটে ভিনিসিউসের বানিয়ে দেওয়া বল ধরে চতুর্থ গোলটি করেন তিনি। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে তার গোল ৯টি যা এই আসরের সর্বোচ্চ।তবু অলিম্পিয়াকোস নিজেদের শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান। ৮১তম মিনিটে এল কাবির হেডে ফের গোল করে বসেন তারা। শেষ দিকে কয়েকটি আক্রমণে রিয়ালকে চাপে রাখলেও সমতায় ফিরতে পারেনি। ফলে ১ গোল বেশি লিড থাকায় জয় পায় রিয়াল।
এদিকে দুদলের আটবারের দেখা-সাক্ষাতে আগে কখনো এই মাঠে জয়ের দেখা পায়নি রিয়াল। অবশেষে সেই পরিসংখ্যানও পাল্টে গেল। এখন পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠেছে তারা। অন্যদিকে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে অলিম্পিয়াকোস।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৭নভেম্বর২৫/টিএ