পর্তুগালের হয়ে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পথে আর কোনো আনুষ্ঠানিক বাধা রইল না। ফিফা তার তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখলেও এর মধ্যে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ফলে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলতে রোনালদোর জন্য রোনালদোর আর কোনো বাধা থাকছে না।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাছাইপর্বের ম্যাচে কনুই দিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে আঘাত করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেছিলেন রোনালদো। একই ধরনের অপরাধে সাধারণত তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। রোনালদোর ক্ষেত্রেও সেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তবে ফিফা দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের বিষয়টি আগামী এক বছরের জন্য স্থগিত রেখেছে। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে এমন আচরণ আর করলে বাকি দুটি নিষেধাজ্ঞাও যুক্ত হবে।
রোনালদো ইতোমধ্যে একটি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েছেন। আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ৯–১ গোলে জেতা ম্যাচে তাকে পায়নি পর্তুগাল, যদিও সেই জয়েই তারা নিশ্চিত করেছে পরবর্তী বিশ্বকাপের টিকিট।
উল্লেখ্য, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড পেয়েছিলেন রোনালদো। যেজন্য ফিফা তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে এই নিষেধাজ্ঞা ঘিরে আরও একটি ভিডিও ক্লিপ তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। ভিডিওতে দেখা যায় ৩৮ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে আয়ারল্যান্ডের দারা ও’শের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় রোনালদোর। টিভি রিপ্লেতে যা দেখা যায়, হাত ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার সেই মুহূর্তটিকে “হিংস্র আচরণ” বলে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড তুলে ধরেন। কিন্তু পরে ছড়িয়ে পড়া নতুন ফুটেজে দেখা গেছে, ও’শেই আগে থেকেই রোনালদোর জার্সি ধরে টানাটানি করছিলেন। পরবর্তীতে রোনালদো সেটা ছাড়ানোর জন্যই হাত তুলে বসে। যার ফলে মাটিতে পড়ে যায় ও’শেই।
কিন্তু বিতর্কটা এখানেই-অনেকের মতে রোনালদোর এই প্রতিক্রিয়াকে কি সত্যিই লাল কার্ডের মতো কঠোর শাস্তি প্রাপ্য ছিল? ও’শে কি ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়ে ঘটনাটিকে বাড়িয়ে দেখালেন? লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদো খুব বেশি প্রতিবাদ করেননি, কিন্তু তার চোখে মুখে হতাশা ছিল স্পষ্ট।
সবকিছু মিলিয়ে, নিজের শেষ বিশ্বকাপ বলে ঘোষণা দেওয়া টুর্নামেন্টের আগে এমন লাল কার্ড রোনালদো এবং পর্তুগাল দুই পক্ষেরই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিল। তবে এখন দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করায় রোনালদো ও তার দল উভয়ই নির্ভার হয়ে মাঠে নামতে পারবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৬নভেম্বর২৫/টিএ