লিওনেল মেসির বিশ্বকাপজয়ী সতীর্থ আলজান্দ্রো গোমেজ দুই বছরের ডোপিং নিষেধাজ্ঞা শেষ করে আবারও ফুটবলে ফিরেছেন। ইতালির দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব কালচিও পাদোভার হয়ে শনিবার ফের মাঠে নামেন গোমেজ।
আর্জেন্টিনা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন গোমেজ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নিষিদ্ধ পদার্থ গ্রহণের দায়ে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন সকল ধরনের ফুটবল থেকে।
গোমেজেরর শরীরে নিষিদ্ধ পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও তিনি দাবি করেছিলেন, সন্তানকে দেওয়া কাশি সিরাপ ভুলবশত খাওয়ায় এমন হয়েছিল। ঘটনা সামনে আসার পর তার ক্লাব সেভিয়া তার চুক্তি বাতিল করে দেয়। গোমেজের উপর ফিফার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত অক্টোবরের ১৮ তারিখ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে সিরি ‘বি’ ম্যাচে পাদোভার হয়ে ভেনেজিয়ার বিপক্ষে ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন গোমেজ। দর্শকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেও ২-০ গোলে ম্যাচ হারে পাদোভার।
ম্যাচ শেষে নিজের লক্ষ্য নিয়ে গোমেজ জানান, ‘আমি ঘুরতে আসিনি। পাদোভাকে যতটা সম্ভব ওপরে তোলাই আমার লক্ষ্য।’
নিজের শাস্তির বিষয়ে গোমেজ মনে করেন, তাকে অযথাই কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। শাস্তির পর নিজের বিপর্যস্ত সময়ের বর্ণনা দিয়ে গোমেজ বলেন, ‘কেউ কোকেন নেয় বা গাঁজা খায়৷ তখন ছয় মাস শাস্তি পায়। আমি ছেলের কাশি সিরাপ খেয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলাম! প্রথমে ফুটবল দেখা বন্ধই করে দিয়েছিলাম। নিজেকে আলাদা করে একজন মনোবিজ্ঞানীর সহায়তায় পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে।’
৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর ঠিক পর পরই নিষেধাজ্ঞা পাওয়াটা তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দিয়েছিল। নিজের বিপর্যস্ত সময় নিয়ে গোমেজ বলেন, ‘ক্যারিয়ারের সেরা সময়, বিশ্বকাপ জয়ের পরেই এমন হলো। মনে হচ্ছিল, আমি তো অবসর নিতে চাই না, তাহলে কয়েকজন স্যুট-টাই পরা লোক কেন ঠিক করবে আমি কবে অবসর নেব?’
বিশ্বকাপ জয়ের পর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার আগে বিশ্বকাপ চলাকালেও অন্য কারণে আলোচনায় এসেছিলেন গোমেজ। এক আর্জেন্টাইন প্রতিবেদক দাবি করেছিলেন, বিশ্বকাপ চলাকালে ড্রেসিং রুমে উদযাপনের সময় গোমেজ নাকি মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে নিয়ে ‘অনুপযুক্ত’ মন্তব্য করেছিলেন। এতে মেসি নাকি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।
প্রতিবেদক সেইসময়ের বর্ণনা দিয়ে বলেছিলেন, ‘সবাই গান গাইছিল, আর গোমেজ নাকি বলেছিল ‘আন্তোনেলাকে দিয়ে দাও!’ যদিও এই ঘটনার কারণে কোন শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি গোমেজকে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২৪নভেম্বর২৫/এআই