টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬–এর সম্ভাব্য গ্রুপিং নিয়ে আলোচনা চলছিল অনেক আগে থেকেই। ২০ দল নিয়ে হতে যাওয়া এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোন গ্রুপে পড়ে সেটা নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আগ্রহ সবসময়ই ছিল। তবে ক্রিকবাজ ও বিসিবির তথ্যমতে বাংলাদেশের সাথে একই গ্রুপে পড়তে পারে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এছাড়াও থাকতে পারে নেপাল ও প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলা ইতালি।
ইংল্যান্ড এখনো সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলগুলোর একটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজও বিশ্বকাপ এলেই অন্যরকম ক্রিকেট খেলতে থাকে। এই দুই শক্তিকে একসঙ্গে মোকাবিলা করা স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এর সঙ্গে নেপাল ও ইতালির মতো দল থাকলেও প্রতিযোগিতা সহজ হবে না। কারণ এই দুই দলও সম্প্রতি অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে। এছাড়াও ছোট ফরম্যাটে কোনো দলকে দুর্বল ভাবার সুযোগ নেই। নিজেদের দিনে যেকোনো ছোট দল বড় দলকে হারিয়ে দিতে পারে।
ক্রিকবাজের তথ্যমতে, স্বাগতিক দল ভারতের গ্রুপে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। সাথে থাকছে নেদারল্যান্ডস, নামিবিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।
আরেক স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সাথে একই গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং ওমান।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের সাথে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কানাডা।
এদিকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে প্রতিটি গ্রুপ থেকে কেবল দুইটি সুপার এইটে উঠতে পারবে। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই প্রতিটি ম্যাচ হয়ে উঠবে প্রায় নকআউট পর্বের মত। শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং সব দিকেই দুর্দান্ত হতে হবে বাংলাদেশকে। গেল বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনালের সুযোগ থাকলেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি টাইগাররা। তাই ২০ দল নিয়ে হওয়া এবারের বিশ্বকাপে সুপার এইটে উঠতে হলে ভালো কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে।
উল্লেখ্য, এখনো ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপিং আইসিসি কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি। আইসিসি ২৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ে চূড়ান্ত ড্র প্রকাশ করবে।
ক্রিফোস্পোর্টস/২২নভেম্বর২৫/টিএ