অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে আজ পার্থে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। মাঠে নামার আগেই অজিদের একাদশে জায়গা পেয়েছে দুজন নতুন মুখ, আর দুজনেরই বয়স ৩১ বছরের বেশি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে এমন ঘটনা শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯২০ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনিতে সাতজন নতুন ক্রিকেটারকে নামিয়েছিল অজিরা, যাদের মধ্যে হারবার্ট কলিন্স, আর্থার মেইলি ও জ্যাক রাইডারের বয়সই ছিল ৩১–এর ওপরে।
এবার সেই বিরল দৃশ্য আবারও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে দেখা গেল জেক ওয়েদারেল্ড ও ব্রেন্ডন ডগেটকে নিয়ে। ওপেনার ওয়েদারেল্ড এবং পেসার ডগেট দুজনই প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন বো ওয়েবস্টার, যিনি ভারতের বিপক্ষে নিউ ইয়ার্স টেস্টে অভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত দলে ছিলেন।
মার্নাস লাবুশেনও ফিরেছেন তিন নম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর আবার জায়গা পেয়েছেন তিনি। ক্যামেরন গ্রিন থাকছেন ছয়ে, যদিও চোটের কারণে তার বোলিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় অস্ট্রেলিয়া ক্রীড়া কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া বোলিং আক্রমণেও বড় ধাক্কা সামলাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও জশ হেইজেলউড দুজনই চোটের বাইরে। তাদের জায়গায় স্কট বোল্যান্ড ও নবাগত ব্রেন্ডন ডগেট খেলছেন। পেস ইউনিটের নেতৃত্বে আছেন মিচেল স্টার্ক। একমাত্র স্পিন বিকল্প হিসেবে খেলছেন নাথান লায়ন।
এই অ্যাশেজে নতুন করে ইতিহাস গড়ার প্রতিযোগিতায় আছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই অভিষেক হয়েছিল একসঙ্গে। তার আগে এমনটা দেখা গেছে ২০১১ সালের অ্যাশেজে। তবে ৩১ বছরের ওপরে দুই নবাগতকে এক ম্যাচে নামানো—১০৫ বছর পর ফের সেই মুহূর্ত দেখতে পেল ক্রিকেট বিশ্ব।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশ: উসমান খাজা, জেক ওয়েদারেল্ড, মার্নাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), ট্রাভিস হেড, ক্যামেরন গ্রিন, অ্যালেক্স ক্যারি (উইকেটকিপার), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, স্কট বোল্যান্ড, ব্রেন্ডন ডগেট।
ইংল্যান্ড একাদশ: বেন ডাকেট, জ্যাক ক্রলি, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স, জোফরা আর্চার, মার্ক উড।
ক্রিফোস্পোর্টস/২১নভেম্বর২৫/টিএ