মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শততম টেস্টে নেমেই নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিশেষ দিনটাকে আরও উজ্জ্বল করলেন মুশফিকুর রহিম। ১০৬ রানের ইনিংসে শুধু দলের হালই ধরেননি, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসেও নতুন করে রেকর্ড গড়লেন তিনি। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলা এবং সেই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড় শুধু মুশফিক।
খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের আবেগ লুকাতে পারেননি মুশফিক। তিনি বললেন, এমন পথচলার কল্পনা তিনি নিজেও করেননি। “আলহামদুলিল্লাহ! এটা আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার ১০০ টেস্ট খেলবে এটা বিশাল বিষয়। শুধু আমার না, যে কোনো দেশের জন্যই এটা গর্বের মুহূর্ত। ভালো লাগছে আমি সেই ব্যক্তিটা হতে পেরেছি।”
ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলকে সামনে রেখেছেন সবসময়ই। এদিনও ব্যতিক্রম ছিল না। তিনি মনে করেন, “বাংলাদেশের জন্য মুশফিকুর রহিম একটা ফোটা মাত্র। ব্যক্তির আগে দল। দল জিতলেই সেটা আমার জন্য আসল উপহার হবে।”
তবে এই সেঞ্চুরি তিনি উৎসর্গ করেছেন দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে, যারা জীবদ্দশায় তাঁর খেলা দেখতে চান বলে বলে আসছিলেন। তাই “শততম টেস্টে সেঞ্চুরি তাঁদেরই জন্য,” বলেই থামেন তিনি।
প্রথম দিনের শেষে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে ফেরার অভিজ্ঞতাও মনে ধরেছে তাঁর, “এত বছরেও সারাদিন ব্যাট করে ৯৯ রানে ফিরে আসিনি। এই ম্যাচে এসে সেই অনুভূতিটাও পেলাম।”
নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সেরা স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তুলে আনলেন প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসটি। “ওটাই আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত। ওই ইনিংসের পর অনেকেই বিশ্বাস করেছে, ডাবল সেঞ্চুরি করা সম্ভব।”
পরিবারের অবদান নিয়েও কথা বলেন মুশফিক। বিশেষ করে স্ত্রীর জায়গাটা আলাদা করে উল্লেখ করলেন। তিনি বলেন, “সবচেয়ে বেশি স্যাক্রিফাইস করেছে আমার স্ত্রী। আপনারা জানেন আমি বেশি প্র্যাকটিস করি(হেসে), সেটা সম্ভব হতো না তার সাপোর্ট ছাড়া। বাচ্চাদের রাত জেগে মানুষ করেছে, আমাকে কখনো চাপ নিতে দেয়নি।”
শততম ম্যাচের শুভেচ্ছা জানিয়ে হামজা চৌধুরীর বার্তাও তাঁকে আবেগাপ্লুত করেছে। “তার উইশ দেখে সারপ্রাইজড হয়েছি, ভালোও লেগেছে। সামনে দেখা হলে ধন্যবাদ জানাব।”
ক্রিফোস্পোর্টস/২১নভেম্বর২৫/টিএ