ঢাকা টেস্টে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট দেখালো বাংলাদেশ। মিরপুরের মন্থর উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে শক্ত ভীত পায় টাইগাররা। এরপর বোলিংয়ে নেমেও আলো ছড়িয়েছে বাংলাদেশ। শেষ বিকেলে দলীয় একশ করার আগেই আইরিশদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
ঢাকা টেস্টে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করেছে আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ৩৭৮ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। দলের পক্ষে ক্রিজে আছেন লোরকান টাকার (১১*) ও স্টিফেন দোহেনি (২*)।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। আগের দিন ৯৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। আজ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ১০৬ রান করে ফিরে যান এই তারকা। মুশফিকের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। ১২৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
তবে অল্পের জন্য ফিফটি মিস করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ রান আসে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। ১৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন এবাদত হোসেন। এছাড়া আগের দিন মুমিনুল হক ৬৩, মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ এবং সাদমান ইসলাম ৩৫ রান করেন।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। ১০৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন এই স্পিনার। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন ম্যাথিউ হামফ্রেয়স ও গ্যাবিন হোয়ে।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৭ রান তুলে নিয়েছিল তারা। ইনিংসের ১১তম ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন খালেদ আহমেদ। পল স্টার্লিংকে এলবিডব্লুর শিকার বানিয়ে সাজঘরে ফেরান এই পেসার। ২৬ বলে ২৭ রান করে বিদায় নেন এই ওপেনার।

বল হাতে ২টি উইকেট তুলে নিয়েছেন হাসান মুরাদ। ছবি- বিসিবি
এরপর আর ক্রিজে কেউ বেশি সময়ের জন্য সেট হতে পারেননি। দলীয় ৬৩ রানে হাসান মুরাদের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার অ্যান্ডিউ বালবার্নি। আইরিশ অধিনাক ২১ রান করে ফেরেন। এরপর কারমাইকেল-হ্যারি টেক্টররা বিশের ঘর ছোঁয়ার আগেই ফিরে যান। আর ডাক মেরে ফেরেন কার্টিস ক্যাম্ফার।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১০ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন হাসান মুরাদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
ক্রিফোস্পোর্টস/২০নভেম্বর২৫/বিটি